শোক বিহুলতা,বেদন আর আত্মত্যাগের অহংকারে উদ্বেলিত হওয়া সেই ভাষাশহীদদের উদ্দেশে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ চোখে পড়ে না শিক্ষাপাঠ প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এটি ১৯৫২’র ২১ ফের্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা প্রাণ দিয়েছেন সেইসব ভাষাশহীদদের উদ্দেশে শহীদ মিনার নির্মিত হলেও নেছারাবাদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠিানগুলোতে হাতে গোনা কয়েকটি শহীদ মিনার থাকলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠিানে শহীদ মিনার নেই। পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১৩৭টি প্রামে ২৭১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মধ্যে ২০৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬৯ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো-কোনোটির শতবর্ষপূর্তী উদ্যাপন করা হলেও বায়ন্নর‘র ২১ ফের্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর শহীদ মিনার নেই। উপজেলার গ্রাম অঞ্চলের কোন কোন স্কুলে ছাত্র/ছাত্রীরা কলাগাছের শহীদ মিনার তৈরি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন দৈনিক মানব কন্ঠকে জানান, নেছারাবাদ উপজেলায় ফঝিলা রহমান মহিলা ডিগ্রী কলেজ, কবি নজরুল ইসলাম বি এম কলেজ, দৈহারী মহাবিদ্যালয় ও স্বরুপকাঠি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ ১০টি কলেজের মধ্যে ৪টি কলেজেই শহীদ মিনার নেই। এছাড়াও ৬৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৪টি, ১৭০টি প্রথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২৫টি ও ২১টি মাদ্রাসাসহ মোট ২০৪টি শিক্ষা প্রতিপ্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মান করা হয় নি। এমনকি উপজেলার সর্ববৃহৎ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বরুপকাঠি কলেজিয়েট একাডেমি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ৪৬ বছরেও শহীদ মিনার নির্মান করা হয়নি। একাডেমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক বজলুল রহমান জানান, শহীদ মিনার নির্মানের চেষ্টা চলছে তবে আমরা সরকারি স্বরুপকাঠি কলেজের শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক দিবসগুলো পালন করে থাকি। এসব শিক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার না থাকার কারণে ৫২’র ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বলেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলনে বাংলা ভাষার জন্য আত্মৎসর্গ করেছিলেন যারা তাদের স্মরণে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার প্রয়োজন। তা না হলে ভাষাশহীদদের রক্ত¯্রােতের বিনিময়ে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার কথা নতুন প্রজম্ম ভুলে যাবে।
নেছারাবাদ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ ব্যপারে জানানো হয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অচিরেই শহীদ মিনার নির্মানের কাজ শুরু হতে পারে।