কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর মেয়র মো. শওকত উসমান স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকা-ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে পৌর কার্যালয়ে তাঁর কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করেন এবং গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পৌর কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলনের স্থলে পূর্ণ উত্তোলন সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু অনলাইন পোর্টাল ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ লিপি প্রদান করেন।
লিখিত প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেন, কটিয়াদী পৌরসভা কার্যালয়টি ভৌগোলিক কারণে শহরতলীতে অবস্থিত। যাহা একান্ত নীরব ও জনসমাগমহীন এলাকায় অবস্থিত। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত কোন অনুষ্ঠান না থাকার কারণে রাত ১২টায় শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ঐদিন কর্মকর্তা/কর্মচারীরা দিনের বেলা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। দায়িত্বরত কর্মচারী বিল্লাল হোসেন যথা নিয়মে পতাকা উত্তোলন করে চলে যান। সকাল সাড়ে ৮টায় বিদ্যুৎকর্মী আবদুল হালিম তার দায়িত্ব শেষ করে যখন পৌর ভবনে যান, তখন তিনি পতাকাটি অর্ধনমিত আছে দেখতে পান। কিন্তু পরবর্তীতে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে উত্তোলনকৃত অর্ধনমিত পতাকাটি পুরোপুরি উত্তোলন করে তাহার আলোকচিত্র ধারণ করে অনলাইন পোর্টাল ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রচার করে। প্রতিবাদ লিপিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত হয়ে পর পর দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হই। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এ হীন অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। তিনি বলেন, কিছু সাংবাদিক তার পত্রিকার জন্য বিজ্ঞাপন না পেয়ে এ ধরণের হীন কাজে লিপ্ত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি। এ সময় পৌর প্রকৌশলী ও সচিব মিজানুর রহমান, অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।