লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী এবিএম জিনালীর বাসার সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালে প্রতিন্দ্বন্ধী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর।
এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন বিএনপির প্রার্থীসহ দলের নেতাকর্মীদের তিনঘন্টা বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার ভূমি আক্তার জাহান সাথী ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় বিকালে তিনি জেলা রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জিলানীর বাড়ি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধান হাঁটা সড়কের উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে। আগামী রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারী) এ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জিলানীর বাসার সামনে রাস্তায় প্রতিপক্ষের লোকজন পাঁচ-ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় তাঁরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। নির্বাচনের দিন তিনিসহ (বিএনপির প্রার্থী) দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত না থাকতে হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক জিলানী রায়পুর থানার পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফোনে জানান। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ওসির নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আক্তার জাহান সাথী ও ওসি আবদুল জলিল জানিয়েছেন, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে পটকা ফোটানো হয়েছে। পটকার খোসাও উদ্ধার করা হয়। পরিস্থিতি শান্ত করে উভয়পক্ষের লোকদের ঘটনাস্থল থেকে বিদায় করা হয়েছে।
বিএনপির প্রার্থী এবিএম জিলানী বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই তাকে ও তার কর্মী-সমর্থকদের বাধা দিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট ও তার লোকজন। প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাকে হুমকিধমকি দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট মুঠোফোনে জানান, তাকে হেয় করার জন্য প্রতিপক্ষ এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি কিছুই জানেন না।
জেলা রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, বাসার সামনে ককটেল বিষ্ফোরন ও তাকেসহ দলের নেতা কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে বিএনপির প্রার্থী মুঠোফোনে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।