রাজশাহীর বাগমারায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের সাকোয়া পূর্বপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী দুই ভাই জাবেদ আলী ও আবেদ আলীর বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই ভাইয়ের বসতবাড়ির ৩িনটি ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। প্রথমে জাবেদ আলীর বাড়িতে আগুন লেগে তা দ্রুত আবেদ আলীর বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে একই গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে আসে। তবে ঘটনা স্থলে যাওয়ার কোন রাস্তা না পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রন করতে প্রায় এক ঘন্টার বেশি সময় লেগে যায়।
বাগমারা ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা ইব্রাহীম হোসেন জানান, রাত দুইটার সময় ওই গ্রামে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সেখানে ছুটে যাই। তবে সেখানে গাড়ি যাওয়ার মত কোন রাস্তা না পেয়ে অবশেষে একটি ভ্যান যোগে সেখানে গিয়ে মটর সেট করে আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সুত্রপাত বলে তিনি জানান।
আগুন নিয়ন্ত্রনে অংশ নেওয়া গ্রামবাসী রফিকুল ইসলাম সহ কয়েকজন যুবক জানান, প্রথমে চিৎকার ডাকাহাকা শুনে তারা ঘরের বাইরে এসে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। পরে তারা যে যার মত পাশ্ববর্তী পুকুর থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালান। এরি মাঝে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে এসে মেশিনের সাহায্যে পানি ছিটেয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়। তারা জানান, জাবেদ ও আবেদ দুই ভাই ব্যবসায়ী। আগের দিন আলু বিক্রির এক লাখ টাকাও বাড়িতে রাখা ছিল। আগুন লেগে গেলে প্রাণ বাঁচাতে তারা ওই টাকা ঘরে ফেলেই বাহিরে বেরিয়ে আসে। পরে ওই টাকা সহ একটি ফ্রিজ, একটি টেলিভিশন ও বেশ কিছু মূল্যবান আসবাবপত্র সহ প্রায় চার লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
মাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম আলী আসকান জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন খবর পেয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে যাই। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নগত দশ হাজার টাকা, দুই বস্তা চাল ও দুটি কম্বল দিয়েছি এবং ঘর নির্মাণের জন্য টিন বরাদ্দেরও ঘোষনা দেয়া হয়েছে। সরকারী তহবিল থেকে আরও সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।