যশোরের কেশবপুরে সদ্য শেষ হওয়া পৌর নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দু’কাউন্সিলর প্রার্থীর ৫ জন আহত হয়েছে। সহিংসতায় জড়িয়ে পরা ওই দু’প্রার্থী হলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু ও পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী কুতুব উদ্দিন বিশ্বাস। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কেশবপুর শহরের কলেজপাড়া ও আলতাপোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু ও পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী কুতুব উদ্দিনের কর্মী সমর্থকরা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় কুতুব উদ্দিনের বসতঘরের সোকেচ ও ব্যাসিন ভাংচুরসহ মালামাল তছনছ করা হয়। এ সময় কুতুব উদ্দিন বিশ্বাসের স্ত্রী তহমিনা খাতুনকে (৪০) মারপিট করে আহত করা হয়। এ ছাড়া কলেজপাড়ার মনিরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে মাসুম পারভেজ সোহেলের (২২) উপর হামলা করলে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়।
এ সময় শহরে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হলে দু’পক্ষের সমর্থকরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে নাজির বিশ্বাসের ছেলে কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু (৪০), আবদুর রউফ দফাদারের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৪০), ইব্রাহিম বিশ্বাসের ছেলে ফয়সাল বিশ্বাস (১৭) আহত হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ওই রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সাবেক কাউন্সিলর কুতুব উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করে নেয়া হয়েছে। নব নির্বাচিত কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবুর সেল ফোনে একাধিকবার সংযে৩াগের জন্য চেষ্টাপ করা হগলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য প্রকাশ করা যায়নি।
এ বিষয়ে কেশবপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) জসীম উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে তারা একটা আপোশষ মিমাংশা করে নিয়েছে বলে শুনেছি। £