আমরা কখনও দাবি করি না মুক্তিযোদ্ধের সর্বাতœক নেতা ছিলেন জিয়াউর রহমান। মূল ভূমিকায় ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ঘোষণা দিয়েছেন জিয়া। সেটা কেন স্বীকার করতে চাননা। রাজনৈতিক কারণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কোনো চেষ্টা করা হলে সেটা অন্যায় হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভার সরকারের উদ্দেশ্যে এমন কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মিডিয়া কমিটি সাংবাদিকদের সাথে মতিবিনিময় সভার আয়োজন করেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক জাতীয় স্থায়ী কিমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অসীম সাহসিকতার জন্য যারা খেতাব পেয়েছেন তা কেড়ে নিতে চান কেন। কারো দয়ার দান নাকি খেতাব। সেটাতো তাদের অর্জন। জিয়াকে অগ্রাহ্য করছেন মানে আপনারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছেন। জিয়াউর রহমান জীবনেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অসম্মানজনক উক্তি করেন নি। আপনারা খেতাব নিয়ে টানাটানি করছেন কেন।
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ৭১ হলো স্বাধীনতার অনিবার্য চূড়ান্ত পরিনতি। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। বিএনপিই প্রথম স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব শামা উবায়েদ। সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সভাপতিত্বে প্রধান আরো বক্তব্য রাখেন ছিলেন সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবদুস সালাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বর্তমান সরকার বিকৃত করার চেষ্টা করছে। মুক্তিযোদ্ধের ঘোষক হিসেবে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের আয়োজন করায় সরকার দলের হৃদকম্পন সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতায় যার যতটুকু অবদান তা আমরা স্বীকার করতে চাই। সে যে দলের হোক। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা স্বীকার করতে চায় না।
তিনি আরো বলেন, দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে। চোরের দলে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ। সে কারণে অন্যের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। গত কয়েক বছরে বিএনপির অনেক নেতা গুম হত্যা করা হয়েছে। সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে বেগম জিয়াকে আবার প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন, শরিফুল আলম, সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির সদস্য ইয়াসের খান চৌধুরী, ফারজানা, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।