৬ বছর আগে লালমনিরহাটে লক্ষ্মী কান্ত রায় নামে জীবিত এক স্কুল শিক্ষককে মৃত দেখিয়ে বন্ধ হওয়া তার (এনআইডি) জাতীয় পরিচয় পত্র আবারও সচল করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) বেলা ১২টায় ভোটার আইডি কার্ড সচল হয়েছে এবং সে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস এর টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পেরেছে বলে নিশ্চিত করেন স্কুল শিক্ষক লক্ষ্মী কান্ত রায়।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল জানান, জীবিত স্কুল শিক্ষককে মৃত দেখিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বন্ধ করা এবং ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার বিষয়টির তদন্ত চলমান রয়েছে। আরও তিন কার্যদিবস তদন্তের সময় বাড়ানো হয়েছে। তদন্ত করে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করবেন। পরে তা এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হবে।
লক্ষ্ণী কান্ত রায় আদিতমারী উপজেলা বালাপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কাকেয়টেপা গ্রামের মৃত হিরম্ব চন্দ্র রায়ের ছেলে।
ভোটার তালিকায় নাম না থাকার কারণে তিনি গত সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় কোনো নির্বাচনেই ভোট দিতে পারেননি। শুধু তাই নয়, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশনও করতে পারেননি স্কুলশিক্ষক লক্ষ্ণী কান্ত রায়। এছাড়াও এনআইডি কার্ড না থাকায় তিনি বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, জীবিত স্কুলশিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত রায়কে নির্বাচন কমিশন ২০১৫ সালে মৃত দেখিয়ে তাঁর এনআইডি অকার্যকর করে দেয়। এ নিয়ে লক্ষ্মীকান্ত রায় বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির শিকার হন। এনআইডির এ সমস্যা সমাধানের জন্য গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার জাতীয় পরিচয় পত্র সচল করতে একটি আবেদন করেন।