ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিচার ও কারাবন্দী ছাত্রনেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে বাম গণতান্ত্রিক জোট শনিবার সোনারগাঁও প্রেসক্লাবে সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সোনারগাঁ থানার সমন্বয়ক বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও উদীচী সোনারগাঁ উপজেলার সভাপতি শংকর প্রকাশের সঞ্চালনা বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক সভাপতি এ্যাড. জিয়া হায়দার ডিপটি, কমিউনিস্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সম্পাদক ম-লীর সদস্য বিমল কান্তি দাস, কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহেদ কায়েস, কমিউনিস্ট পার্টির সোনারগাঁ উপজেলার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুদ্দিন, কমিউনিস্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলার সম্পাদক ম-লীর সদস্য আবদুস সালাম বাবুল, আনোয়ার খাঁন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখার সদস্য সাইফুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক মুকুল প্রমুখ।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন,সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলে ৪০টিরও বেশী আসন পাবেনা, সে কারনেই ডিজিটাল নিরা পত্তার মতো এমন কালো আইন তৈরী করেছে। জনসমর্থন হীন এ সরকার ক্ষমতা রাখতেও পারছেনা, আবার ছারতেও পারছেনা এমন অবস্থায় তারা মরিয়া হয়ে পরেছে। দেশে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কন্ঠস্বর রুদ্ধ করতেই এ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এর শিকার হচ্ছেন সাংবাদিক, লেখক, কলামিস্ট, শিক্ষকসহ মুক্ত চিন্তার মানুষ। গত ২০১৯ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১হাজার ৯শ ৮৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। ২০২০ সালে ৭৫ জন সাংবাদিককে জেলে যেতে হয়েছে। যা একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে কখনো কাম্য নয়। এ আইনের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছেন তাদেরকেও পুলিশি হামলায় রক্তাক্ত করা হচ্ছে এবং মামলা দিয়ে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। কুখ্যাত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের হত্যাকা-ের প্রতিবাদ মিছিল থেকে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা নজির আমিন চৌধুরী জয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি তামজীদ হায়দার চঞ্চল, দপ্তর সম্পাদক জয়তী চক্রবর্তী, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নাজিফা জান্নাত, সদস্য তানজিম রাফি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের নেতা আকিফ আহমেদ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) নেতা আরাফাত সাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের প্রতিবাদ করা হয়। বক্তারা অবিলম্বে এ আইন বাতিল চেয়ে এবং লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার, খুলনার পাটকল আন্দোলনের নেতা রুহুল আমিনসহ ৭ ছাত্রনেতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানায়।