পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলাকে জেলা চাই এ দাবিতে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান এমপি।
১৯০৬ সালে থানা কাঠামো, ৬৯ সালে মহকুমা থেকে জেলায় রুপান্তরের সিদ্ধান্ত তৎকালীন রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে কলাপাড়া বাদ পড়ে বরগুনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত আসনের মর্যাদার আসনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ যে উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে সেখানে উন্নয়ন সূচকের মানদন্ডে কলাপাড়া উপজেলায় চলমান এবং পরিকল্পিত মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে প্রশাসনিক কাঠামো কলাপাড়া উপজেলা থেকে জেলায় রুপান্তরের সময়ের দাবী। এ কারণে কলাপাড়া সদর, মহিপুর থানা, রাঙ্গাবালী, আমতলী, তালতলী উপজেলা নিয়ে জেলা ঘোষণার দাবি জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
মানববন্ধন পরবর্তী সমাবেশে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান, কলাপাড়া পৌরসভা মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, মহিলা আয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ ফাতেমা আক্তার রেখা, কলাপাড়া সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট অবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম বিশ্বাস, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিয়ার রহমান বন্টিন, অধ্যক্ষ সৈয়দ নাছির উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার, কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তরা দাবি করেন, কলাপাড়াকে জেলা ঘোষণা করা হলে রাষ্ট্রের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। কেননা কলাপাড়া সদর, মহিপুর থানা, রাঙ্গাবালী, আমতলী, তালতলী উপজেলার মোট আয়তন ১৭১৮ বর্গ কিলোমিটার। যা ইতঃপূর্বে সৃষ্ঠ ২১টি জেলার আয়তনের চেয়ে বড় এবং জনসংখ্যা প্রায় সাত লাখ।
মানববন্ধনে শত শত ব্যানার ফ্যাস্টুন প্রদর্শন করা হয়। শত শত সংগঠন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন। কলাপাড়া পৌরসভার দুই কিলোমিটার এলাকা মানববন্ধনে পরিনত হয়। পরে এমপি মহিব্বুর রহমানের নেতৃত্বে কলাপাড়া ইউএনওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।