আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে বাঁধ রক্ষার কাজ শেষ হতে না হতেই আবারও ভয়াবহ ফাটল দেখা দেওয়ায় জনমনে চরম সংশয় বিরাজ করছে। কুগিকাহুনিয়ায় চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বাঁধের ফাটল রক্ষার কাজ চললেও হরিষখালীর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। দ্রুত বাঁধ রক্ষার কাজ না করলে যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে পুনরায় ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
প্রতাপনগর ইউনিয়নের একাধিক স্থানে গত বছরের ২০ মে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা নিমজ্জিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাস পর বাঁধের কাজ করা সম্ভব হলেও পরবর্তীতে দেখভাল না করায় পুনরায় বাঁধের অবস্থা শোচনাীয় হয়ে পড়েছে। ২/৩ দিন পূর্ব হতে কুড়িকাহুনিয়া বাঁধের ফাঁটল শুরু হয়। লঞ্চঘাটের দক্ষিণ পাশে হঠাৎ করে ওয়াপদা ভেড়িবাঁধের ফাঁটলে ভাঙ্গন শুরু হলে চরম বিপত্তিকর পরিস্থিত সৃষ্টি হয়। ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাকির হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি পাউবো কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এলাকার মানুষের উপর পুনরায় দুর্দশা নেমে আসুক সে সুযোগ না দিয়ে তিনি (চেয়ারম্যান) সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে শ্রমিক লাগিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া ভেড়িবাঁধ রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়েন। কুগিকাহুনিয়ার বাঁধ আপাতত রক্ষা করা গেলেও হরিষখালী ক্লোজারে চাপান দেওয়ার পর কানেকটিং রাস্তার উপর প্রবল পানির চাপ শুরু হয়। ফলে বাঁধের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। বিষয়টি চেয়ারম্যান পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করা হলেও এখনো বাঁধ রক্ষার কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দ্রুত বাঁধ রক্ষার্থে এগিয়ে না গেলে পুনরায় বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়ে পূর্বের ন্যায় চরম ভোগান্তি নেমে আসতে পারে। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও এমপি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।