শেরপুর জেলায় বসবাসকারী তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) জনগোষ্ঠিদের মূলধারায় সম্পৃক্তকরণের লক্ষে সাত দিনব্যাপী ব্লক-বাটিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলার ২০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অংশগ্রহণে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জেলা প্রশাসকের তুলশীমালা ট্রেনিং কাম কম্পিউটার ল্যাবে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুক্তাদিরুল আহাম্মদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওয়ালিউল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লুৎফুল কবির, প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন, জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটির সদস্য সচিব হাকিম বাবুল, হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি সরকারসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা।
হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি সরকার বলেন, সরকার তাদের কর্মসংস্থানের লক্ষে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন, আমরা ভিক্ষা করতে চাই না। কাজ করে খেতে চাই। এ প্রশিক্ষণ আমাদের নতুন করে জীবন শুরু করার অনুপ্রেরণা যোগাবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ আল-মামুন বলেন, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব-এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে হিজড়াদের বাসস্থানের জন্য আবাসন প্রকল্প করা হয়েছে। সেখানে খুব শীঘ্রই ৪০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে পুনর্বাসিত করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে তাদেরকে সবধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।
প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া সুতিরপাড় গ্রামে ৪০ জন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে সরকারিভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ লক্ষেই এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু ব্লক-বাটিক নয়, সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে সকল হিজড়াকেই সবধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আশা করি আগামী ২ বছরের মধ্যে শেরপুরের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবেন।