নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বাইক যাত্রী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক নারীকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত বাইক চালক সোহাগ নংমিন (৩২) কে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
ধর্ষক সোহাগ নংমিন কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড় মনগড়া গ্রামের বলাম মান্দার ছেলে। সে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মো. সুলতান আহমেদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন,ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত বাইক চালক সোহাগ নংমিন (৩২) বুধবার দুপুরে (১০ মার্চ) নেত্রকোণা জেলার বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়। পরে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেছে। ভিকটিমের শারিরীক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পায়নি। মামলা তদন্তাধীন আছে।
ভিকটিম পরিবারের লোকজনকে হুমকি ধামকি দেয়ায় বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন শুনেছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ১লা মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় রংছাতি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কান্দাপাড়া গ্রামে এক বান্ধবীর নিমন্ত্রণে তাঁর আরেক বান্ধবীকে নিয়ে বেড়াতে যান। পরে দাওয়াত খেয়ে বান্ধবীকে নিয়ে ভিকটিম ভাড়ায় মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উদ্দেশ্য রওনা দেন। পথিমধ্যে বটতলা গ্রামের রাশিদুলের বসত বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে সাবিত্রী নংমিনের পতিত জমিতে গাড়ি থামান এবং ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে নির্যাতিতার বান্ধবীকে চলে যেতে বাধ্য করেন এবং এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করেন। পরে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে মারপিট করে চালক সোহাগ ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। নির্যাতন শেষে সোহাগ তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার সময় চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। কিন্তু ততক্ষণে সোহাগ মোটরসাইকেল চালিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
নিজ বাড়ীতে ফিরে ঘটনা প্রকাশ না করলেও অস্বাভাবিক আচরণে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন সন্দেহ করে এবং জিজ্ঞেস করলে তিনি আসল ঘটনা বর্ণনা করেন। পরে ওই ঘটনায় নির্যাতিতা নিজেই বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) কলমাকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা দায়েরের পর বাদীর পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে বলেও মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপির সদস্য মো. জামাল উদ্দিনসহ এলাকাবাসীরা সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে বিচার চেয়েছেন।