জামাই সিয়াম ইসলামের দ্বিতীয় বিয়ে ঠেকাতে গিয়ে গুরুত্বর আহত হয়েছেন শাশুড়ী নাজমা বেগম (৪০) এবং অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাহফুজা খাতুন (১৯)। আহত মা-মেয়ে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
জানাযায়, মণিরামপুর উপজেলার পাড়দিয়া গ্রামের আসাদুজ্জামানের মেয়ে মাহফুজার দেড় বছর আগে বিয়ে হয় কেশবপুরের চাদড়া গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে সিয়ামের সাথে। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী মাহফুজাকে নিয়ে ওই পরিবারে বিরোধ চলছিল। এক পর্যায় সিয়াম তার স্ত্রীকে নিয়ে পাড়দিয়া গ্রামে শ^শুর বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। এরইমধ্যে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন স্ত্রী মাহফুজা খাতুন। কোন কারণ ছাড়াই মাস দু’য়েক আগে স্ত্রীকে ফেলে সিয়াম ইসলাম চলে যায় কেশবপুরের পিতার বাড়িতে। মেয়ে মাহফুজাকে সঙ্গে নিয়ে মা নাজমা বেগম কেশবপুর চাদড়া গ্রামে জামাই সিয়ামের বাড়িতে যান।
মাহফুজার পিতা আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার তারা দুজন সেখানে যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয় জানতে পেরে তা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় বিয়াই তরিকুল ইসলাম এবং বিয়াইন শিউলী বেগম তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে গুরুত্বর আহত করেছেন। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি, আর ঘটনাস্থল পার্শ্ববর্তী কেশবপুর থানার যে কারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।