যশোরের অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়ন পরিষদেও ২নং ওয়ার্ডে মেম্বার নূর আলী শেখ (৪৫)কে গুলি করে খুন করেন চিহিৃত সন্ত্রাসীরা। খুনের ঘটনার প্রায় ৪৫ ঘন্টা পরে মঙ্গলবার বিকালে অভয়নগর থানায় নিহত নূর আলী শেখের স্ত্রী তহমিনা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় চারজনরে নাম উল্লেখসহ ৮/১০জনকে অঙ্ঘত আসামি করা হয়েছে। মামলা নং-১৭ তাং ০৯-০৩-২০২১।
নিহত নূর আলীর বড় ভাই রুহুল আমিন শেখ মুঠো ফোনে জানান, ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় শুভরাড়া গ্রামের আশরাফ উদ্দিন একাডেমির সামনে কবরস্থানে নুর আলী শেখের মরদেহের দাফন করা হয়। মরদেহ দাফনের পরে পরিবারের সদস্যসহ নিহতের বড় ছেলে গুলিতে আহত, খুলনায় চিকিৎসাধীন ইব্রাহিম হোসেন সাথে কথা বলে মামলা করা হয়। এজন্য মামলা করতে দেরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন আমরা সর্বদাই পুলিশের প্রটেকশন আছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর ইকবল মাহামুদ বলেন, সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এ মামলা তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের আইনের আওতায় আনার জোর তৎপরতা চলছে। তিনি আরও জানান, এ মামলার সন্দেহজনক রানাগাতি গ্রামের মৃত সোবাহান মল্লিকের ছেলে নান্নু মল্লিক’কে আটক করা হয়েছে।
অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন মামলা দায়েরের পর থেকেই এজাহার ভুক্ত আসামীদের আটক ও হত্যার রহস্য উদঘাটনে জন্য জোর তৎপরতা শুরু করেছে থানা পুলিশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থা পৃথক পৃথক ভাবে কাজ করছে। হত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, নূর আলী মেম্বার এলাকায় সন্ত্রসীদের আশ্রায় প্রশ্রায় দিতেন না। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতেন এবং পুলিশ প্রশাসনকে জানাতেন। হত্যা রহস্য উদঘাটনে থানা পুলিশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন গোয়েন্দ সংস্থা কাজ করছে। দ্রুত সময়ে মধ্যেই আসামীদের আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারবো।
উল্লেখ্য, নূর আলী মেম্বার রোববার (৭ মার্চ) রাত আনুমানিক ৮ টার সময় শুভরাড়া ইউনিয়নের শুভরাড়া গ্রামের বাবুরহাট নিজস্ব কার্যলায় থেকে মটরসাইকেল করে শুভরাড়া গ্রামে নিজ বাড়ী ফিরছিলেন। মটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তাঁর ছেলে ইব্রাহিম (১৬)। বাবুরহাট কার্যালয় থেকে ১০০ গজ দূরে একটি বট গাছের নিচে পৌছায়। এ সময় কয়েকজন অস্ত্রধারী চলন্ত অবস্থায় ইব্রাহিমের বা পায়ে গুলি করে। এতে তারা মটরসাইকেল থেকে ছিটকে মাটিতে পড়ে যান। এরপর সন্ত্রাসীরা নুর আলী(৪৫)ু মেম্বারের মাথার পিছনে ডান পাশে গুলি করে। গুলিটি মাথার সামনে দিয়ে বেড়িয়ে যায় এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। ছেলে ইব্রাহিম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎধিন আছে।