শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তের রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামের ফসলি জমির মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া মর্টারশেলটি নিস্ক্রিয় করা হয়েছে। বুধবার (১০ মার্চ)
বিকেলে মর্টারশেলটি নিস্ক্রিয় করেন সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল টিম। বিকেল চারটা চল্লিশ মিনিটে বিকট শব্দে মর্টারশেলটি নিস্ক্রিয় করা হয়। নিস্ক্রিয়ের পর বিস্ফোরকের গন্ধ মাখা ধুলোয় পুরো এলাকা ধূসরিত হয়। আশপাশের বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মানুষদের নিরাপদ দূরত্বে সড়িয়ে ফেলা হয়।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেলে কালাকুমা গ্রামের আতর আলীর জমির মাটির নিচ থেকে মর্টারশেল সদৃশ্য এ গোলাটি উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে উদ্ধার হওয়া গোলাটি মর্টারশেলের বলে নিশ্চিত করেন ঘাটাইল সেনা নিবাসের মেজর নাহিদ শারমিন।
স্থানীয় সোলেমান, হাসমত ও রবিউল জানায়, গত প্রায় ৮/১০ দিন আগে নূর ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ভারত থেকে নেমে আসা ভোগাই নদী থেকে নুড়ি পাথর ও বালু তোলার সময় মর্টারশেল সদৃশ্য এ গোলাটি পায়। পরে তা সেখানেই ফেলে আসে নূর ইসলাম। একপর্যায়ে এটি সাধারণ লোহা ভেবে এর ওজন বিবেচনা করে বিক্রির উদ্দেশে ওই ব্যক্তি গোলাটি নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। মর্টারশেল সদৃশ্য গোলাটি নূর ইসলাম তার পরিচিতজনদের দেখান। এ সময় কেউ কেউ তাকে আড়াই বা তিন কেজি ওজনের বস্তুটি লোহা কেনা বেচার ব্যবসায়ীদের কাছে ২০০/৩০০ টাকায় বিক্রি করে দেয়ার পরামর্শ দেয়। পরে শোনা যায় এটি একটি বোমা। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় নূর ইসলাম ভয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে এলাকার আতর আলীর জমিতে তা পুঁতে রাখে। মঙ্গলবার বিজিবি বিষয়টি জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে ওই জায়গাটি নিশ্চিত করে। পরে খবর দিলে পুলিশ ওই জায়গার চারপাশে ঘিরে রাখে।
অভিযানকালে নালিতাবাড়ী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন ও ওসি বছির আহমেদ বাদলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।