ফরিদপুর জেলা সদর হতে ভাংগা, নগরকান্দা, চরভদ্রাসন, সদরপুর ও সালথা উপজেলার দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত সমূহ ভাংগা উপজেলা সদরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে ফরিদপুরে জরুরী সভা ও মানববন্ধন করেছে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সকল আইনজীবীগণ।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা আইনজীবী ভবনে এ জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেরা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু ওমর মো. খালেদ।
বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা।
সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, কোন এক এমপির ডিও লেটারের করানে এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। যে এমটি ওই ডিও লেটার দিয়েছেন তিনি সরকারি নীতি নির্ধারনী কোন ব্যাক্তি নন। এটি ডিও লেটারের মাধ্যমে যদি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় তাহলে ফরিদপুরে আগুন ধরে যাবে। ওই ডিও লেটার সরকারের স্বার্থে নয় দেওয়া হয়েছে ব্যক্তি স্বার্থে। আমার নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় এর প্রতিবাদ করবো। আগামী রোববার এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা জজকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মো. শাহজাহান মিয়া, শফিউল আলম, সহিদুন্নবী, স্বপন কুমার আচার্য, মো. নূরে আলম, কোব্বাত হোসেন, কায়সার শরিফ, সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলী, মানিক মজুমদার, দুলাল চন্দ্র সাহা, স্বপন পাল, আবদুর রশিদ, জাহিদ ব্যাপারি প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে ফরিদপুর জেলা সদর হইতে ভাংগা, নগরকান্দা, সদরপুর ও সালথা উপজেলার দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত সমূহ স্থানান্তর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবী জানান।
জরুরী সভা শেষে জজ কোর্ট এর প্রধান সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ জেলার সকল আইনজীবীগণ। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কোর্ট চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যায়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আরেকটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে “ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর দুই গালে জুতা মোরো তালে তালে”, আদালত স্থনান্তর মানিনা চলবে না’ প্রভৃতি শ্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা।
পরে শীর্ষ আইনজীবীদের মধ্যে থেকে ১২জন সদস্য ফরিদপুরের জেলা প্রমাসক অতুল সরকারের সাথে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময়কালে জেলা প্রশাসক বলেন, আদালত স্থনানন্তর রাষ্ট্রের কোন সিদ্ধান্ত নয়। নতুন কোরে কোন উপজেলায় আদালত নিয়ে যেতে হলে সুপ্রিরম কোর্টের অনুমতি ছাড়া সম্ভব নয়।