ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা এখন ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ ওঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। নতুন ওঠা এসব পেঁয়াজ ১২ থেকে ১৪শ টাকা মণ দরে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছে কৃষকরা। বাজারজাত করনের জন্য এই পেঁয়াজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। যা থেকে এক লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তারা। এ ছাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করায় পেঁয়াজের ফলন ভাল হয়েছে।
উচ্চ ফলনশীল জাত কৃষকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এ ছাড়া কৃষকরা এটির বাজারমূল্য ভালো পায় ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বেশি। এ কারণে এ জাতের পেঁয়াজ ৮০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে উচ্চ ফলনশীল এ জাতের পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের মিরাকান্দা গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম মোল্যা বলেন, আমি সাত বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। উৎপাদন ভাল হয়েছে। বর্তমানে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ ওঠাতে শুরু করেছি। তিনি আরো জানান, দাম কিছুটা বাড়লে কৃষকরা লাভবান হবেন। তবে সরকার বিদেশ থেকে পেয়াজ আমদানি না করলে আমরা লাভবান হবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিবাংশু দাস বলেন, সালথা উপজেলায় এবার মোট ১২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ইতোমধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উত্তোলন হয়ে গেছে গড় হিসাবে পার হেক্টর প্রতি ১৬ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। এ ছাড়া হালি পেঁয়াজের উত্তোলন শুরু হয়েছে। পেঁয়াজের ফলন ভালো আশানুরূপ হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কৃষক যদি ন্যায্য মূল্য পায় সে ক্ষেত্রে কৃষকদের পেঁয়াজ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়বে এবং স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের চাহিদা পূরণে সমর্থ হবে।