মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বুধবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের। অপরদিকে হামলায় গুরুত্বর আহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান মুন্সি উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মৃত কাশেম আলী মুন্সির পুত্র। তিনি বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সচিব এবং রহমতপুর ইউনিয়নের কমান্ডার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের স্ত্রী তানজিলুর রহমান বাদি হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে জানা গেছে, একই গ্রামের সেকেন্দার আলী ও তার ছেলেদের সাথে জমিজমা নিয়ে তার (মুক্তিযোদ্ধার) বিরোধ চলে আসছে। সোমবার আজিজুর রহমান ভ্যেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটতে গেলে তাতে বাঁধা দেয় সেকেন্দার আলীর পুত্র আবুল খায়ের মুন্সি।
এ নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরধরে ওইদিন দিবাগত রাত আটটার দিকে বাড়ির পাশে বসে মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা চালায় আবুল খায়ের ও তার পুত্র ইমাম হোসেন আকাশসহ অন্যান্যরা। এতে রক্তাক্ত জখম হয় মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান। এ সময় মুক্তিযোদ্ধার চিৎকারে তার নাতি জুবায়ের হোসেন এগিয়ে আসলে তাকেও বেধম মারধর করা হয়। হামলার সময় ভ্যেকু মেশিনের পেমেন্ট দিতে আনা ৫০ হাজার টাকা আহত মুক্তিযোদ্ধার পকেট থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
পরে আহত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আজিজুর রহমান জরুরি পরিসেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশের সাহায্য চাইলে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেস।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) শাহ মোঃ ফয়সাল আহমেদ বলেন, জরুরি নম্বরের ফোন পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও তার নাতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলাকারী আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।