ফরিদপুরে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ (১ম ও ২য় পর্যায়) প্রকল্প এবং সালথা বাইপাস সড়কের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের মাঝে ক্ষতিপূরণের ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮ হাজার ৪১১ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার নগরকান্দা উপজেলার ৮৯ জন জমি মালিকদের মাঝে এসব চেক বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে নগরকান্দা উপজেলার চর যশোহরদী ইউনিয়নের চর শ্রীবরদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতি প্রু। জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র, চর যশোহরদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পথিক তালুকদার সহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতি প্রু বলেন, সরকার জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌছে দিতে বদ্ধপরিকর। সেলক্ষ্যেই সেবা গ্রহিতাদের দুর্ভোগ লাঘবে আমরা তাদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছি।
এর আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা তিথি মিত্র ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভাঙ্গার তারাকান্দি গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী প্রবীণ মো. আবু বকর খাঁনের শয্যা পাশে যেয়ে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন। প্রায় ১১ লাখ ৮৭ হাজার টাকার এই চেক হাতে হাসপাতালের শয্যা পাশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন তিনি। এ সময় আবু বকর খান তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এভাবে হাসপাতালে বসে চেক পাবো তা কোনদিন কল্পনাও করিনি।
এছাড়া বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় দুলালী গ্রামের ছুফিয়া বেগম ওরফে ছবিরন নেসাকে ৭ লাখ ১২ হাজার টাকার, মোসা. শুকুরননেসাকে ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকার, শ্রীবরদি গ্রামের জোসনা বেগমকে ১১ লাখ ৬১ হাজার টাকার এবং সালথার পাটপাশা গ্রামের মোসা. নূরজাহান বেগমকে ১৮ লাখ ২২ হাজার টাকার চেক তাঁদের বাড়িতে পৌছে গ্রহীতাদের হাতে তুলে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ১ম ও ২য় পর্যায়ে সবমিলিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার প্রায় ৩শ’ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
এসব জমির মালিকদের ক্ষতিপুরণ বাবদ ১ম পর্যায়ে ২৭০ কোটি টাকা, ২য় পর্যায়ে ১৮৬ কোটি টাকা এবং তৃতিয় পর্যায়ে ৩শ’ জনের মাঝে ১২ কোটি ৩৪ লাখ ৫৮০ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছিল।