গাজীপুরের কালীগঞ্জে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলের অনুদান চাওয়ায় প্রবাসীর ছেলে আরিফ হোসেনকে স্থাণীয় সন্ত্রাসী আজাফর, সোলামান খন্দকার, জবান খন্দকার ও ছানাউল্লাহসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের নরুন এলাকায় ঘটেছে। কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ মার্চ সকালে উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের নরুন হাফিজিয়া বায়তুন নুর এতিম খানার ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলের কালেকশন করতে প্রবাসীর ছেলে আরিফ হোসেন গেলে স্থাণীয় সোলেমান খন্দকার অনুদান না দিয়ে তাদের ভিক্ষা দেইনা বলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। মাহফিল আয়োজক কমিটি তার বক্তব্যের ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ করায় অভিযুক্তরা দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবাসীর ছেলে আরিফ হোসেনের উপর হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা আরিফের হাত ভাঙ্গাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থাণীয়রা তাকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে আহত আরিফের মা নিলুফা বেগম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে বাদীসহ তার মাদ্রাসায় পড়-য়া নাতি আবু বকর সিদ্দিক (৮) ও নাতনি জান্নাতুনকে (৬) অপহরণ করে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে আহত আরিফের মা নিলুফা বেগম জানান, সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে গুরুতর আহত কারার বিষয়ে কালীগঞ্জ থানায় গত ৯ দিন পূর্বে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে পুলিশ ৯ দিনেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিযুক্তরা আমাদের একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা এলাকার সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা যে কোন সময় আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। আমার নিরাপত্তাহীনতা ভূগছি।
অভিযুক্ত সোলেমান খন্দকার জানান, আমার ভাতিজা জুবায়েরকে মশকরা করে বলেছি যে আমরা কাউকে ভিক্ষা দেই না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক ঘটনার সততা স্বীকার করে বলেন- অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।