সামনে রোজা কিন্তু পুঠিয়ায় স্বাস্থ্য পরিদশর্কের অনিয়মের কারণে বাড়ছে ভেজাল খাদ্যপণ্যের কেনাবেচা। এ সকল খাদ্যপণ্যে খেয়ে সাধারন মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে। পরিদর্শক হাটবাজারগুলো নজনদারি করার পরিবর্তে মাসোয়ারা টাকা উঠানো নিয়ে ব্যস্ত বলে বিভিন্ন হাটবাজার এলাকার ক্রেতা-বিক্রেতাগন অভিযোগ তুলেছেন।
জানা গেছে, উপজেলা ও পৌরসভা মিলে ছোট-বড় হাটবাজার রয়েছে ১৫টি, কশাইখানা রয়েছে ১০টি, বিভিন্ন খাদ্য পণ্যে তৈরির বেকারী ৮টি, প্রায় পাঁচশতাধিক বিভিন্ন প্রকার খাবার দোকান, এ ছাড়া ছোট-বড় মুদিদোকান রয়েছে প্রায় দেড় হাজার। উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেকেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক দোকান ও হাট-বাজার গুলোতে কোনো প্রকার তদারকি না করায়। সাধারন মানুষরা ভেজাল বাসিপচা এবং অতিনিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বানেশ্বরহাট এলাকার জহিরুল ইসলাম, আজিম উদ্দীন ও পুঠিয়া সদর পৌর এলাকার মোস্তফা কামাল অভিযোগ তুলে জানান, প্রতিটি দোকানের আশপাশের পরিবেশ অত্যন্ত খারাপ। কোনো কোনো খাবার হোটেলগুলোতে বাসিপচা খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। তারপর এলাকার কশাইখানা মাছ বাজারগুলোতে দুগন্ধে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বেশীরভাগ কশাইরা গভীর রাতে রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে সকালে ভালো মাংশ বলে বিক্রি করছে। এ ছাড়া মুদিদোকানগুলো তেলসহ বিভিন্ন ভেজাল খাদ্যপণ্যে দোকানদারগন ক্রেতাদের কাছে ভালো বলে বিক্রি করছে। প্রতিটি হাটবাজারে ব্যবসায়ীর বনিক সমিতি নামক প্রতিষ্ঠান থাকায় এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস রাখে না কেউ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝলমলিয়া বাজারের একাধিক দোকানদারা জানান, বিভিন্ন জটিলতার কারণে আমরা সব সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে পারি না। বেশীরভাগ খাদ্য সামগ্রী আমরা পাইকারী কিনে খুচরা বিক্রি করি। সঠিক সময়ে মালামালগুলো বিক্রি করতে না পারলে,কিছুটা কমে যেতে পারে। খাদ্য সামগ্রীগুলো পরীক্ষা-নীরিক্ষায় উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেকেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শকদ ও পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শকদ তদারকির করেন না জানতে চাইলে, তারা জানান প্রতিমাসে ঠিকমত টাকা দিলে তারা কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করে না। হাটবাজারের কশাইরা জানায়, প্রতিদিন গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ এবং মাংশের গুনগত মান পরীক্ষার জটিলতা এড়াতে আমরা প্রতিটি গরুর জন্য ৭শ’ টাকা এবং ছাগলের জন্য দুইশত টাকা করে দিলে তারা কোনো ঝামেলা করে না।
পৌরসভা স্বাস্থ্য পরির্দশক মামুন-অর রশিদ বলেন, আমার স্যানিটারি প্রশিক্ষন না থাকার কারণে, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান আমার দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান মাসোয়ারার বিষয়টি অস্বীকার করেন। মাঝেমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমি অভিযান পরিচালনা করে থাকি। সম্প্রতি বানেশ্বরহাটে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তারপর আমি ভোক্তাঅধিকার অভিযানের সময়ে ভ্রাম্যমান আদালতের সঙ্গে থেকে কাজ করে থাকি।