পিরোজপুরের কাউখালীতে বয়স্কভাতা অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় অবৈধভাবে ভাতা গ্রহনকারী ৪৫৬ জনার ভাতা বতিল করেছে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর।
বাতিলের মধ্য রয়েছে ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে ৭৬জন, ২নং আমরাজুরি ইউনিয়নে ৯৬জন, ৩নং সদর ইউনিয়নে ১১২জন, ৪নং চিরাপাড়া ইউনিয়নে ৬০জন, ৫নং শিয়ালকাঠি ইউনিয়নে ১১২জন ভাতাধারীদের ভাতা বতিল করা হয়েছে।
এদের পরির্বতে নতুন করে অরো ৬২৯ জন বৈধ্য ভাবে ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উপজেলায় শতভাগ বয়স্ক ভাতা অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এ নিয়ে ৩৮০৬জন ভাতার আওতায় আনা হয়।
জানা যায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যন, মেম্বার, ইউপি সচিবদের যোগশাজেসে ভাতাভোগীরা অবৈধভাবে বয়স বাড়িয়ে এন আই ডি কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে এবং কোন কোন জায়গায় জন্মনিবদ্ধনেও বয়স বাড়িয়ে বয়স্কভাতা গ্রহনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে পাওয়া যায় এরা বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছিল।
বর্তমানে ই আই এম এস পদ্ধতি চালু হওয়ায় অবৈধভাবে ভাতা গ্রহনকারীদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ফলে অবৈধভাবে ভাতা গ্রহনকারীদের চিহ্নিত করে বঞ্চিতদের নতুন করে ভাতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
বয়স্কভাতা পাওয়ার নুন্যতম যোগ্যতা ছিল পুরুষ কম পক্ষে ৬৫বছর হতে হবে এবং মহিলাদের ৬২বছর হতে হবে। সেখানে অবৈধভাবে ভাতাভোগীদের অনেকেরই ৫০-৬০ এর মধ্য রয়েছে।
তারা বয়স বাড়িয়ে এবং কোথাও স্থান পরির্বতন ও এন আই ডি কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে বছরের পর বছর ধরে ভাতা গ্রহন করে। এদের ভাতা বন্ধ করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়নি।
এ ব্যপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মহাসিন কবির জানান, বাতিলকৃতরা অবৈধভাবে বয়স বাড়িয়ে এবং এন আই ডি কার্ড জালিয়াতি সহ বিভিন্ন তথ্য গোপন করে এরা ভাতা ভুক্ত হয়েছিল। এখন সব কিছু অনলাইন হওয়ায় সচ্ছতা ফিরে এসেছে।