এক সময় ব্যাক্টেরিয়ার নাম শুনলেই মানুষ ভয় পেতো, এখন আর ভয় নয়, বন্ধু হিসেবে বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়াকে গ্রহন করা যাবে, মানুষের সাথে যার মিল সবচেয়ে বেশি। মিলের সাদৃশ্যকে কেন্দ্র করে প্রকৃতি হতে শতকরা ৭৬ ভাগ উপকারী ব্যাক্টেরিয়া সংগ্রহ করা যাবে উদ্ভাবনীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে। খাগড়াছড়িতে কৃষিতে নভেল বেসিলাস এর ব্যবহার ও প্রয়গোত্তর ফলাফল নিয়ে কৃষকের আংগীনায় বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়ার মাঠ দিবসে এসব কথা বলেন কৃষি গবেষকরা।
সকালে জেলার মানিকছড়ির ময়ুরখীলে হাতে কলমে বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়ার ব্যবহার ও প্রয়োগ নিয়ে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ইকবাল ফারুকের সভাপতিত্বে হিসেবে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবু হেনা ছরোয়ার জাহান বেলাল। অন্যান্যের মধ্যে প্রধান গবেষক ও উর্ধবতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পরিচালক ড. মু. তোফাজ্জল হোসেন রনি উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি ড. বেলাল বলেন, উপকারী বেসিলাস ব্যাক্টেরিয়াগুলো শক্তিশালি পেপ্টাইডোগ্লাইকোন এর মাধ্যমে প্রতিকুল অবস্থায় গাছকে খাদ্যরস গ্রহণে সহয়তা করে শক্তিশালি করে এবং এন্টাগনাস্টিক হিসেবে কাজ করে যার ফলে জীবাণুরা অবস্থান করতে পারেনা। ফলে গাছ আর ঢলে পড়ে না।
এছাড়াও ব্যাক্টেরিয়ার জীবন ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ, কালচার, নামকরণ এবং কৃষিতে উপকারী বেসিলাস এর ব্যবহার প্রয়োগ এবং ঢলে পড়া রোগ দমন ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।