পাবনার সাঁথিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১জন নিহত ও মহিলাসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরের উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামে। নিহত ব্যাক্তি নাজির(৩৮) ওই গ্রামের মৃত ইলবাজের ছেলে। আহতরা হচ্ছেন নিহত নাজিরের বড়ভাই নাসির(৪২), ছোট ভাই রাজা(৩৬) বোন জেলেনা খাতুন(৪৬), নিহতের আত্মীয় আবুল হোসেনের ছেলে সুমন(৩৫),মাহবুবের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন(৩৫)ও অপর পক্ষের নাজমুল হক(৩০)। সংঘর্ষের সময় ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের তাজমল মেম্বর গ্রুপ ও এনামুল হক শশী গ্রুপের মধ্যে দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিয়ে এর আগে বেশ কয়েক বার দরবার শালিস হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, ঘটনার দিন প্রথমে শশী গ্রুপের লোকজন তাজমল মেম্বরের ভাই নাজমুলকে(৩০)হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। সে সাঁথিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। খবর পেয়ে তাজমল মেম্বরের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শশী গ্রুপের লোকজনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের আক্রমনে টিকতে না পেরে জীবন বাচাঁতে শশী গ্রপের লোকজন দৌড়ে শশীর বাড়িতে ঘরের মধ্যে আশ্রয় নেয়। এ সময় প্রতিপক্ষ নাজিরকে ঘরের মধ্য থেকে বের করে এনে ধারােেলা অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। একে একে অন্যান্যদেরও ঘর থেকে বের করে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তারা বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। গুরুতর আহত নাজিরকে দ্রুত সাঁথিয়া হাসপাতালে আনা হলে কর্র্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নাজিরের স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতাল চত্বরে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আহত অন্যান্যেেদর সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্র্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুতর আহত নাছির ও সুমনকে পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাজমল মেম্বরের ভাই নাজমুলকে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতির অবনতির আশংকায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাঁথিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ(ওসি)আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।