পাবনার সুজানগর উপজেলা সদর ছাপিয়ে ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাম-গঞ্জে। সুজানগর থানা পুলিশ মাঝে-মধ্যে ২/৪জন ইয়াবাসেবী ও ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আইনে সোপর্দ করলেও ইয়াবা ব্যবসা ও সেবন বন্ধ হচ্ছে না। তবে ইদানীং ফেনসিডিলসেবী ও ব্যবসায়ীদের উপদ্রব কিছুটা কমেছে।
খোঁজ নিয়ে এবং একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, সুজানগর উপজেলায় ১৫/২০জনের একটি ইয়াবা ব্যবসায়ী চক্র রয়েছে। ঐ সব ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে জমজমাটভাবে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কলেজ শিক্ষক বলেন উপজেলার নাজিরগঞ্জ, শ্যামসুন্দরপুর, আহম্মদপুর এবং চিনাখড়াসহ উপজেলার ২০/২৫টি পয়েন্টে রয়েছে ইয়াবা ও গাঁজা ব্যবসায়ীদের আস্তানা। মাদকসেবীরা ঐ সকল আস্তানা থেকে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য কিনে সেবন করে থাকে। সাধারণ মাদকসেবীদের পাশাপাশি এক শ্রেণির স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও ঐ সকল মাদকসেবন করছে। উপজেলার সাগরকান্দী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন শিক্ষার্থীরা ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করে তাদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতকে ধবংস করছে। আর অবৈধ মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করে রাতা-রাতি কোটিপতিবনে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে মাদকসেবীদের দ্বারা এলাকায় ঘটছে চুরি, ছিনতাইসহ আইনের পরিপন্থী বিভিন্ন রকমের কর্মকাণ্ড। থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাদিউল ইসলাম বলেন মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিবে।