জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করেন।
২৬শে মার্চ দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার সকাল পনে আটটার সময় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়মীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সকল সরকারী, বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মণিরামপুর প্রেসক্লাব, সেচ্ছাসেবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। বিন¤্র শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম।
উপজেলা আওয়ামীলীগ
এদিকে সকাল ১১টার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ দিবস পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরমেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান। ছাত্রলীগ নেতা ফজলুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম, এ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম চক্রবর্তী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহ্বায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার, ছাত্রলীগের আহ্বায় মুরাদুজ্জামান মুরাদ’সহ অনেকে। আলোচনা শেষে শহীদদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাসান সরোওয়ার।
সহযোগী মু্িক্তযোদ্ধা সংসদ
অপরদিকে বিকেল চারটার সময় উপজেলা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি রাজু আহমেদ। এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন লাভলু। আনিচুর রহমানের সঞ্চলনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জগবন্ধু বিশ্বাস, উত্তম চন্দ্র, গোপাল মল্লিক, সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সম্পাদক শ্রীবাস কুন্ডু, সদস্য আবদুস সাত্তার, প্রভাত চৌধুরী, অন্তর দেবনাথ, ছাত্রলীগ নেতা সবুজ বিশ্বাস, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভার পূর্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং আলোচনাসভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
তবে, উপজেলা প্রশাসন ও দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছেন করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার জন্য যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের পরিবর্তে স্বল্প পরিসরে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।