যশোরের শিল্প ও বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়ায় আগুনে পুড়েগেছে ৪ টি বসত ঘর সহ ৬ টি গৃহ পালিত পশু। মাথা গুজার ঠাঁই হারিয়ে অবস্থান নিয়েছে খোলা আকাশের নিচে রেল লইনের পশে। সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা সহ ব্যবসায়ীরা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কয়েক লাখ টাকা। নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিস প্রায় আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভির রাত আনুমানিক ২থেকে ২টা ৩০ মিনিট এর সময় নওয়াপাড়া পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ডের নওয়াপাড়া গ্রামের নোনাঘাটা নামক স্থানে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানাগেছে, শনিবার রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের সময় ঘাট শ্রমিক মেহেরুন নেছার গৃহপালিত পশুর ছাগলের ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় মেহেরুন নেছা, মোঃ আইযুব হোসেন, আনোয়ারা বেগম ও মোঃ বাবুল উদ্দিন ঘর পুড়ে ভস্মিভূত হয়। ঘরে থাকা আসবাবপত্র টেলিভিশন, ফ্রিজ, কাপড়, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার সবই পুড়ে যায়। ক্ষতির পরিমান প্রায় ৮ লাখ টাকা। নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে প্রায় আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন মাষ্টার এহসানুল হক জানান, নোনাঘাটা রেল লাইনের পাশের বস্তিতে রাত ২টার সময় আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। তবে কি কারণে আগুন লেগেছে তার কারণ এখনো জানাযায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ও নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। এ দিকে আগুনে পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ছুটে যান অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর, নওয়াপাড়া পৌর সভার মেয়র সুশান্ত দাস শান্ত। সমবেদনা জানিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছেন সহয়তার হাত। পুড়ে যাওয়া ঘরগুলি পূর্ণ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন মেয়র সুশান্ত দাস শান্ত। দিয়েছেন খাবার ও পোষাক। ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতা রবিন অধিকারী ব্যাচা ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে দিয়েছেন নগদ অর্থ ও চাউল, মেয়র প্রার্থী এস এম মহসিন কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল মালেক হাওলাদার, আবদুস সালাম, জিয়াউদ্দিন পলাশ, শেখ আজিম ও মহিলা কাউন্সিলর শিরিনা বেগম সহ অনেকে নগদ অর্থ দিয়েছেন।