কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভা নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রুবেল হোসেনের বাড়ীঘরে হামলা, ভাংচুর ও অন্তত ২০জনকে কুপিয়ে পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদে শুক্রবার সংবাদ সম্মলেন করেছে ভূক্তভোগী কাউন্সিলর প্রার্থী। এ ঘটনায় থানায় উভয় পক্ষ অভিযোগ দায়ের করে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিরর প্রার্থী রুবেল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার আমি প্রতিক পাওয়ার পর কেক কেটে গণসংযোগের উদ্বোধন করি। এ সময় আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী সাদেক হোসেন তার কিশোর বাহিনী নিয়ে মিছিল করে আমাদের গ্রাম অতিক্রম করার সময় আমার প্রচার মাইক সামনে পড়লে মাইক ভাংচুর, রিক্সা চালক ও প্রচারকারীকে মারপিট শুরু করে। আমরা তাদের আত্ম চিৎকার শুনতে পেয়ে এগিয়ে গেলে তারা আমার নেতাকর্মীদের উপর ধারালো অ¯্রশ¯্র দিয়ে দফায়-দফায় হামলা চালায় এবং বাড়ীতে এসে চেয়ার টেবিল, মোটর সাইকেল ও ঘর ভাংচুর করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে পিটিয়ে আমার অন্তত ২০ নেতাকর্মীকে আহত করে। আহতদের মধ্যে সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র নাঙ্গলকোট গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের ছেলে ফরহাদ হোসেন, অশ্বদিয়া গ্রামের একরামুল হকের ছেলে লিটন, মকবুল আহম্মেদের ছেলে জিয়া, মনজুরুল আলমের ছেলে শাহ আলম, ইউসুফের ছেলে নুর উদ্দিন, নাঙ্গলকোট গ্রামের জৈদর আলীর ছেলে সাহাব উদ্দিনকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত ফরহাদ হোসেনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থী রুবেল তার প্রতিধন্ধী প্রার্থী সাদেক হোসেনকে কিশোর গ্যাং লিডার দাবী করে প্রশাসনের কাছে তার বিচার দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার আবদুর রাজ্জাক, নাঙ্গলকোট পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবদুল কাইয়ুম, আ.লীগ নেতা জাহিরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন দুলাল, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
তবে এ ব্যাপারে কাউন্সিলর প্রার্থী সাদেক হোসেন বলেন, আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে অশ্বদিয়া গ্রামে গেলে আমার প্রতিদন্ধী প্রার্থী রুবেল হোসেনের বাহিনী হামলা করে। হামলায় আমার অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত। আহতদের নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি নাঙ্গলকোট থানা ও রির্টানিং অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করি।