বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্যমেধার নেতৃত্বে আজ লেখক ভট্টাচার্য্যকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিচালনার জন্য সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, বাংলদেশ যেমন একটি ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন একটি ইতিহাস, তারই নীতির অংশ হিসেবে আমাদের মণিরামপুরের লেখক ভট্টাচার্য্যও তেমনিই একটি ইতিহাস। এজন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা মণিরামপুরবাসী কৃতজ্ঞ।
প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য আরও বলেন ছাত্রলীগ আমাদের জাতির অহংকার। বঙ্গবন্ধু এদেশের অ-সম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ একশ্রেণির সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি দেশকে অশান্ত করতে চেষ্ঠা করছে। এজন্য আওয়ামী লীগ তথা এই ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা তাদেরকে প্রতিহত করবে। সোমবার বিকেলে মণিরামপুর শহীদ মসিয়ুর রহমান অডিটরিয়ামে উপজেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত এক সংর্বনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরমেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক তন্ময় দেবনাথ, উপ-স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক সাধন বিশ্বাস। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. বশিস আহমেদ খান, জেলা পরিষদ সদস্য গৌতম চক্রবর্তী, উপজেলা পষিদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মিল্টন।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি লেখক ভট্টাচার্য্য জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, একমাত্র ব্যক্তি আছেন যিনি বাঙ্গালী জাতির জন্য কোন প্রকারের ক্ষতিসাধন করেননি, সবসময় দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন, তিনি হলেন আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার ৫০তম দিবসেও একশ্রেণির অপশক্তি এদেশে অরাজগতা সৃষ্টি করেছে। এদেশে এক শ্রেণির মানুষ মাদ্রাসার অপ্রাপ্তবয়স্ক ও এতিম শিক্ষার্থী যাদের বয়স ১৮ বছর হয়নি তাদেরকে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ব্যবহার করছে রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডে। কিন্তু ধর্মের নাম ব্যবহার করে এদেশে কোন গোষ্ঠিকে অরাজগতা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবেনা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এসকল সাম্প্রদায়িক কর্মকান্ডকে শক্ত হাতে জবাব দেবে।
আবেগ আপ্লুত হয়ে তিনি আরও বলেন, আমার কাছে যশোর ও মণিরামপুরের প্রত্যেকটি মানুষ আমার কাছে সমান গুরুত্ব বহন করে। কোন ব্যক্তি যদি আমাকে প্রয়োজন মনে করেন সেক্ষেত্রে কোন মাধ্যম নয়, সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করলে তাদের উপকারে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো। আমি মৃত্যুর পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো। এ ছাড়া তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী সংগঠন বিরোধী কর্মকা- করলে তাকে কোন অবস্থাতেই ছাড়দেবেনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
লেখক ভট্টাচার্য্যর সফরসঙ্গী হিসেবে সাথে ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শুভ্রদেব হালদার বাপী, রানা হামিদ, সাগর হোসেন সোহাগ, শেখ রেজওয়ান আলী, খাদেল হাসান নয়ন, ফরিদা পারভীন, জেসমিন শান্ত, আনন্দ সাহা পার্থ, দেবশীষ শিকদার সিধার্থ, যুগ্ম-সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি, আবদুল জব্বার রাজ, শামস-ই-নোমান, রফিকুল ইসলাম বাঁধন, নাজমুল সিদ্দিকী নাজ, মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিন, ধর্ম সম্পাদক তুহিন রেজা, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল-আমিন হোসেন, তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার জামি উর সামি প্রমুখ।
বিকেল ৪টায় লেখক ভট্টাচার্য্য মণিরামপুর পৌছিয়ে প্রথমে দলীয় কার্য্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। বিকেল ৫টায় তিনি অডিটরিয়াম অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। এ সময় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সংবর্ধনা এ অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফজলুর রহমান ও জামাল হোসেন।
উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য মণিরামপুরের অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় তার জন্মস্থান উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাহিরঘরিয়া গ্রামে যান। তিনি ওই গ্রামের মৃত. মাখনলাল ভট্টাচার্য্য ও শিপ্রা ভট্টাচার্য্য’র ছেলে। এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে লেখক ভট্টাচার্য্য সকলের ছোট। গ্রামেরবাড়ি পৌছালে তাঁর বাড়ির সামনে মন্দির প্রাঙ্গণে এলাকাবাসী তাকে সংবর্ধনা প্রদান করেন। সোমবার গ্রামেরবাড়ি রাত্রিযাপন শেষে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার উদ্যেশে রওনা হন তিনি।