তিন দফা স্থগিত হওয়ার পর গতকাল রোববার চতুর্থ দফায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাবনার সুজানগর পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সকাল ৯টার দিকে মানিকদীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুইজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় বলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ইমরান আলী জানান। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত দুইজন প্রার্থীর মধ্যে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র কামরুল হুদা কামাল বিশ্বাস গত ১৫মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন বলে জানিয়েছেন সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী। ঐদিন কেবল ৯টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২জনসহ মোট ৪১জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নির্বাচনে ১নং সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর পদে মোছাঃ জাহানারা (জবাফুল) ৯৩৫ভোট পেয়ে, ২নং আসনে মোছাঃ চাম্পা খাতুন (আনারস) ২৫৮১ ভোট পেয়ে ও ৩নং আসনে মোছাঃ লিপি খাতুন (আনারস) ১২০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে মোঃ আবদুল হাই (পানির বোতল) ৫৫৭ ভোট পেয়ে, ২নং ওয়ার্ডে মোঃ আবদুর রহিম (পাঞ্জাবি) ৮২০ ভোট পেয়ে, ৩নং ওয়ার্ডে মোঃ জায়দুল হক জনি (উটপাখি) ৩০২ ভোট পেয়ে, ৪ নং ওয়ার্ডে মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, (উটপাখি) ৪৯২ ভোট পেয়ে, ৫নং ওয়ার্ডে মোঃ রেজাউল মোল্লা (ডালিম) ৫৫২ ভোট পেয়ে, ৬নং ওয়ার্ডে মোঃ জাকির হোসেন (উটপাখি) ৪৮১ ভোট পেয়ে, ৭নং ওয়ার্ডে মোঃ মুশফিকুর রহমান (টেবিল ল্যাম্প) ৮৩৪ ভোট পেয়ে, ৮নং ওয়ার্ডে মোছা পাশু সরদার ( পানির বোতল) ৭৩১ ভোট পেয়ে ও ৯নং ওয়ার্ডে মোঃ হেলাল উদ্দিন খান (পানির বোতল) ৭৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১০টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ঐ নির্বাচনে মোট ২০হাজার ৮‘শ ৪৭জন ভোটারের মধ্যে ১১হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অধিকাংশ কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা তথা ভোটারদের নির্বিঘেœ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার লক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি এবং পুলিশ সদস্যরা ব্যাপকভাবে ভোট কেন্দ্র এলাকায় টহল দেন। ফলে প্রতিটি কেন্দ্রেই সুষ্ঠু, এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।