মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা রোগ প্রতিরোধে মন্ত্রি পরিষদ মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা কর্তৃক শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা আরোপে সারা দেশের ন্যায় বগুড়াতেও মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ।
(৫ এপ্রিল) সোমবার সকাল থেকে শহরের ঐতিহাসিক সাতমাথায় বেশ কিছু ফুটপাত ব্যবসায়ীকে অর্থদ- করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শহর-শহরের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় যান চলাচল সীমিত আকারে দেখা গেছে। মার্কেট ও বিভিন্ন বিপনি বিতানগুলো বন্ধ থাকলেও হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা ছিল। ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য বিধি মেনে কার্যক্রম চলতে দেখা গেছে। শহরে জনসমাগম আগের তুলনায় অনেক কম ছিল।
সড়ক ও মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ দেখা গেছে। তবে অন্যন্য যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। কাঁচা বাজার খোলা ছিল।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহ্উদ্দিন আহমেদ সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কোভিড ১৯ প্রতিরোধে সরকারি বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে, লক ডাউন নয়। বিধিনিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে বগুড়ার জেলা প্রশাসন সকাল থেকে মাঠে কাজ করছে। ৭ দিন আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে থাকব।
এদিকে লকডাউন/ বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণার পরপরই বাজারে জিনিসপত্র কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল আমজনতা। ফলে পবিত্র মাহে রমজানের আগেই জিনিসপত্রের কৃত্রিম সংকট দেখা দেয়ার পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। অপরদিকে ঘোষণার আগেই অধিক মুনাফালোভী কতিপয় ব্যবসায়ী মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, স্প্রের দাম বাড়িয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি-জেলা পুলিশ করোনা প্রতিরোধে মাঠে সকাল থেকে কঠোর ভুমিকা পালন করছে।