পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কালিগঙ্গা নদীতে শ্রীরামকাঠী- ভরতকাঠী ফেরি ঘাটের পাশে খেয়াঘাটে সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের আভিযোগ উঠেছে খেয়া ইজারাদার কর্তৃপক্ষের নামে। আর এতে জিম্মি হয়ে পরেছে প্রতিদিন খেয়া পারাপার হওয়া নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। সরেজমিন ঘুরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে সরকারি তালিকানুযায়ী জন প্রতি ভাড়া ৩/- টাকা আর ঘাটে ২/- টাকা নেয়ার কথা থাকলেও মূলত আদায় হচ্ছে জনপ্রতি ১০/- টাকা এবং চালকসহ মটরসাইকেল নেয়া হচ্ছে ৪০/- থেকে ৫০/- টাকা। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবৎ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে খেয়া কর্তৃপক্ষ। রাতের বেলায় এ ভাড়া আরো বৃদ্ধি করে নেয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগি জাহিদুল হক জানান, আমি মটরসাইকেল নিয়ে খেয়া পারাপার হই প্রায়ই তবে আসতে ৪০ যাইতে ৫০ টাকা বা তারও বেশি দিতে হয়। স্থানীয় রাজু নামে এক যুবক জানান, আমি প্রতিনিয়ত খেয়ায় পারাপার হই আমার কাছ থেকেও অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয়। জানা যায়, নাজিরপুর- নেছারাবাদ এ দুটি থানার সংযোগ পথ হিসেবে এ খেয়াটি পিরোজপুর জেলা পরিষদের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হয়। গত ২০২০-২১ অর্থ বছরের জন্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে পিরোজপুর পঙ্গু, দুঃস্থ ও বেকার মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতি লিমিটেড শ্রীরামকাঠী-ভরতকাঠী খেয়া ঘাট জেলা পরিষদ কোঠায় সমঝোতার ভিত্তিতে সমির কুমার বাচ্চুর নামে ইজারা দেয়া হয়েছে। ইজারাদারের পক্ষে বর্তমানে জিহাদ আলী শেখ খেয়া পরিচালনা করছেন বলে জানা যায়। ইজারাদার সমির কুমার মুঠোফোনে জানান, আমরা এ পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি তবে আমাদের খেয়া পারাপারের জন্য ৫/- টাকা হারেই টাকা তোলার কথা রয়েছে। যদি কোন ট্রলার বা নৌকা তাদের ইচ্ছামত টাকা তোলার অভিযোগ আসে তা হলে সেই ট্রলার বা নৌকা আমি বন্ধ করে দেব। এ ব্যাপারে খেয়ার মাঝি মিজানুর রহমান বলেন, এ পথে যাত্রী কম হয়ে থাকে তাই আমরা জন প্রতি ১০ টাকা এবং মটরসাইকেল ৪০ টাকায় পার করে থাকি। তবে কাম্য অনুযায়ী আমরা সেই পরিমান যাত্রী পাইনা বলেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ ওবায়দুর রহমান বলেন, এই ইজারা আমাদের অফিস থেকে তো হচ্ছে না এটি জেলা পরিষদ থেকে দেয়া হয়, সেখানে যে রেট আছে সেই রেটের বাইরে নেওয়ার কোন সুযোগ নাই, যদি কেউ রেটের বাইরে গিয়ে ভাড়া আদায় করে তাহলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে তা খতিয়ে দেখব। এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন মহারাজ মুঠোফোনে জানান, আমার তো এই মুহুর্তে মুখস্থ নাই, মূলত ওই খেয়ায় রেট কত তবে একটা অভিযোগ আমার অফিসে নির্বাহী বরাবরে পাঠান আমি ব্যবস্থা গ্রহন করব।