কালিগঞ্জে বীরমুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ শেখ হাবিবুর রহমানের বসতবাড়িতে আবারও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। অগ্নিসংযোগের দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাদেরকে চিহিৃত কিংবা আটক করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে একবার অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের ছেলে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ তৈয়েবুর রহমান। দু’দফা অগ্নিসংযোগের ঘটনাটিকে নাশকতা চালিয়ে পরিবারটিকে পুড়িয়ে মারার প্রচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করছেন তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯/০৩/২০২১ তারিখ রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ শেখ হাবিবুর রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা নিজ নিজ শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১ টা ৪০ মিনিটে ছেলে শেখ ওমর ফারুক (৩৪) ও ডা. শেখ তৈয়েবুর রহমান (৪৬) এর চিৎকার শুনে শয়নকক্ষের বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করে দরজা বাইরে থেকে হ্যাজবোল্ড আটকানো অবস্থায় আছে বলে নিশ্চিত হন। প্রায় ৫ মিনিট পর শেখ ওমর ফারুক হ্যাজবোল্ড খুলে তাকে বাইরে বের করে আনেন। কে বা কারা তার বাড়ির আটটি কক্ষের দরজার হ্যাজবোল্ড বাইরে থেকে আটকে দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। অতি কষ্টে পরিবারের সকলকে ঘর থেকে বের করে এনে জীবন রক্ষা হয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও দরজা, দরজার পর্দা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়ে যেয়ে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এছাড়াও ২০/০৩/২০২১ তারিখ রাত ৭ টার দিকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ হাবিবুর রহমানের মেজ ছেলে শেখ তৌহিদুজ্জামানের কক্ষের জানালা দিয়ে ভিতরে আগুন লাগিয়ে দেয়। ধোয়া দেখতে পেয়ে দ্রুত নিভিয়ে ফেললেও একটি তোষক ও বিছানার চাদর পুড়ে যায়। এ ঘটনায় ২০/০৩/২১ তারিখে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি অভিযোগ দিলেও থানায় মামলা হয়নি। এর আগে ২০২০ সালের ২২ জুলাই রাত ২ টার দিকে ওই বীরমুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে। সে ঘটনায়ও মামলা নেয়নি পুলিশ। বারবার অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলেও অদ্যাবধি পুলিশ কাউকে চিহিৃত বা আটক না করায় সর্বদা চরম আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ শেখ হাবিবুর রহমান। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ করেছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে কালিগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি এখনো তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।