হেফাজতে ইসলামকে এদেশের নব্য রাজাকার উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সালথায় তান্ডবের ঘটনায় হেফাজতের সাথে তাদের দোসর বিএনপি জামাতের লোকেরা জড়িত। এদেশকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানানোর ষড়ডন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা এ হামলা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সালথায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে নেতৃবৃন্দ এক সমাবেশে এ কথা বলেন।
উপজেলা কার্যালয়ের চত্বরে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল ফারুক হোসেন এমপি, আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, আরেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল প্রমুখ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় জেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কর্নেল ফারুক হোসেন বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত হবে। আমরা প্রশাসনকে বলেছি ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের চিহ্নিত করুন। কোন নিরীহ কাউকে যেনো হয়রানী করা না হয়। আর জড়িতদের মধ্যে যদি আওয়ামী লীগের কেউও থাকে তাকেও যেনো রেহাই দেয়া না হয়।
আব্দুর রহমান স্থানীয় একজন হেফাজত নেতার (মাওলানা আকরাম হোসেন) নামোল্লেক করে বলেন, তিনি হেফাজত ও বিএনপি জামাতের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
পরে নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, বাসভবন ও ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে সালথায় পুলিশের সাথে হাজার হাজার জনতার এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা প্রথমে থানা ঘেরাও সরকারি বিভিন্ন কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়া হয়। এতে দুজন নিহত হয়। র্যাব ও পুলিশসহ আরো অনেকে আহত হন।
এঘটনায় ৪ হাজার জনকে আসামি করে পুলিশ একটি মামলা করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।