লালমনিরহাটে আওয়ামীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে শহর জুড়ে থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার (১০ এপ্রিল) বেলা বারটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ছাত্রলীগে সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব সমর্থীত নেতা কর্মী ও আ'লীগের নেতা কর্মীরা ছাত্রলীগ সভাপতি বক্করের বিরুদ্ধে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বাটা মোড় এলাকায় পৌছলে বক্কর সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের ধাওয়া করলে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
মুহুর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, বন্ধ হয়ে যায় মার্কেটের সব দোকানপাট। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দুপক্ষেই ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও উভয় গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গেল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের বোনের বাড়িতে ৫০-৬০ উশৃংখল যুবক হামলা চালায়। মারপিট করা হয় মতিয়ার রহমানের বোন ফাতেমা বেগমকে।
অভিযোগ ওঠে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে বক্করসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মামলার প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বক্কর সমর্থকরা। সেখানসংবাদ সম্মেলনে পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পাপ্পু আল্টিমেটাম দেন আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলাটি প্রত্যাহার করা না হলে সোমবার পুরো জেলায় হরতাল পালন করবে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান পরিস্থিতি। উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া লেগেই আছে।
বেলা আড়াইটা পর্যন্ত দুই গ্রুপই মারমুখী হয়ে অবস্থান নিয়ে আছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপিত ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বক্করের বিরুদ্ধে মামলাকে কেন্দ্র করে আথলীগ-ছাত্রলীগের মধ্যে দফায় দফায় এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। যেকোন সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার আশংকায় বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতোয়েন হয়েছে।