মণিরামপুর পৌর শহরের খুচরা কাঁচা বাজারে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির দীর্ঘ এক বছর পর মাস্কবিহীন তরকারি ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ হয়েছে। ব্যবসায়ীদের একটাই সিদ্ধান্ত মুখে মাস্ক নেই-তো, কোন পণ্য বিক্রি নেই খরিদ্দারের কাছে। দেরিতে হলেও এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতনমহল। সোমবার থেকে উদ্যেগটি গ্রহন করেছেন খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতি।
সোমবার সকালে কাঁচাবাজার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বাজারের প্রবেশ দ্বারে ৩ জন প্রহরী রেখেছেন বাজার কর্তৃপক্ষ। প্রহরীরা ক্রেতাদের মুখে মাস্ক না থাকলে কাঁচাবাজারে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। এমনকি মুখে মাস্ক নেই-তো, সে ক্রেতার নিকট কোন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছেনা। বাজার ঘুরে মাস্কবিহীন কোন বিক্রেতাকেও পাওয়া যায়নি। একাধিক বিক্রেতা জানান, সোমবার থেকে এ অবস্থা কড়াকড়ি করেছেন তারা।
খুচরা কাঁচামাল সমিতির সভাপতি মোঃ আবুল হাসেম এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, ইদানীং উর্ধ্বমুখী করোনা ভাইরাস এ পরিস্থিতির সময়ে মাস্ক ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। এ ছাড়া বাজারে বেচা-কেনার সময় মাস্ক-তো থাকতেই হবে, তারপরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রতি ব্যবসায়ীকে। এ অবস্থায় মাস্কবিহীন কোন ক্রেতাকে মণিরামপুর কাঁচামাল খুচরা বাজারে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছেনা। সমিতি কর্তৃপক্ষের একটাই সিদ্ধান্ত মুখে মাস্ক না থাকলে কোন ব্যবসায়ী খরিদ্দারের নিকট কোন প্রকারের মালামাল বিক্রি করবেন না।
তবে অভিযোগ রয়েছে, কাঁচা বাজারের মধ্যে অবস্থিত মা কালী ষ্টোর-১, মা কালী ষ্টোর-২ এবং আবু হুরাইরা ষ্টোরসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কোন বিধি নিষেধ মানছেনা। সেখানে ক্রেতা-বিক্রেতারা হ-য-ব-র-ল অবস্থায় চলছে কিছুটা।
অপর দিকে পাইকারী কাঁচাবাজার বিক্রেতা সমিতি কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এ কারণে বেতন দিয়ে ৩ জন প্রহরী রেখেছেন প্রবেশ দ্বারে বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক প্রভাষক ফারুক হোসেন কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের এ মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে মাস্কবিহীন কোন ব্যক্তিকে ঘরের বাইরে বের হওয়া সমিচীন নয়। একমাত্র মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরাত্ব বজায় চলাফেরা করলে কিছুটা করোনা ভাইরাস ঝুঁকি থেকে রোধ হওয়া সম্ভব।