দেশে চলছে কার্যকরী লকডাউন। এ লকডাউন বিধিতে নির্দেশনা রয়েছে সর্ব সাধারণ কে ঘরে থাকতে হবে, এক এলাকার মানুষ আরেক এলাকায় গমন করা যাবেনা, সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ, অতীব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যাওয়া যাবেনা, গেলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে। এ সকল বিধি নিষেধের মধ্যে সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের সামনে দিয়েই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজি অটোরিক্সাগুলো। এতে এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় গমন করায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শেরপুর পৌর শহর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহরের কলেজরোড, ধুনটমোড়, মাদ্রাসাগেট এলাকায় প্রচুর পরিমানে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করছে। আর এতে যে সকল যাত্রী রয়েছেন তারা বেশীরভাগ মানুষই পাশর্^বর্তি ধুনট ও কাজিপুর উপজেলার। অনেক সিএনজিতে আবার সারিয়াকান্দি উপজেলার মানুষকেও দেখা গেছে। যাত্রীদের বেশীরভাগই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। কারো মুখে মাস্ক নেই। গায়ের সাথে গা লাগিয়ে বসে আছে তারা। লকডাউনে সিএনজি ভাড়া বেশী নিলেও তাদের কোন সমস্যা নেই। কারণ বাস না থাকায় তারা অনায়াসেই সিএনজিতে এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় গমন করতে পারছেন।
সচেতন মহলের অনেকেই মনে করছেন, এভাবে চলতে থাকলে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবেনা। এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা কোচ,মিনিবাস, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আরিফুর রহমান মিলন বলেন, সরকার লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মোতাবেক কোচ, মিনিবাস বন্ধ রয়েছে। অথচ সড়ক মহাসড়কে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই সিএনজি অটোরিক্সা যাত্রী বহন করে বগুড়াসহ অন্যান্য উপজেলায় যাচ্ছে। আসলে কোনটি গণপরিবহন বুঝিয়েছেন সরকার এটাই আমার বোধগম্য নয়।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়কে সিএনজি বন্ধে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, কোচ, মিনিবাসের মতই সিএনজিও গণপরিবহনের আওতায়। আমরা সিএনজি চালকদের জানিয়ে দিয়েছি যে লকডাউনে কোন যাত্রী বহন করা যাবেনা। তার পরেও এরা অজ্ঞাত কারণে যাত্রীবহন করে চলেছে। এদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। করোনা ভাইরাস রোধে সকলকেই সচেতন এবং লকডাউন কার্যকর করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে।