পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে দশম শ্রেণীর এক মাদরাসা ছাত্রী অবস্থান করছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শাখাঁরীকাঠী ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে। গত ৯ দিন ধরে ওই প্রেমিকের বাড়িতেই ওই মাদরাসা ছাত্রী অবস্থান করছেন। এ সময় ওই বাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়ে দিতে একাধীকবার বেধম মারধর করা হয়েছে তাকে। জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাড়ি একই ইইনয়নের বুড়িখালী গ্রামে। সে ঢাকার একটি মাদরাসায় দশম শ্রেণীতে পড়ে। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের ও ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে, ধর্ষকের বাড়ির পাশেই ওই মাদরাসা ছাত্রীর মামা বাড়ি। তাই ওই ছাত্রী তার মামা বাড়িতে বেড়াতে গেলে বিভিন্ন সময় ওই যুবক তাকে বিয়ে সহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। পরে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১ বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে। এ সময় ওই যুবকও চাকুরীর কারণে ঢাকায় থাকতো। গত ২০ মার্চ দুপুরে ওই যুবক ঢাকায় বসে ওই মাদরাসা ছাত্রীকে জরুরী কথা আসে বলে ফোন করে ডেকে নেয়। পরে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে সন্ধ্যা করে। পরে ঢাকার কল্যানপুরের একটি হোটেলে নিয়ে সেখানে ২ দিন আটকে রেখে জোর করে ধর্ষন করে। তখন ওই মাদরাসা ছাত্রী থানায় মামলা করতে চাইলে যুবক তাকে বিয়ের প্রলভোন দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা রাখে। গত ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা ছাত্রী বিয়ের দাবীতে ওই যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিলে যুবকের বাবা নেপ্তার শেখ, মা হামিদা বেগম, ভাই ইসমাইল শেখ ও ইস্রাফিল শেখ তাকে একাধীকবার বেধম মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দেয়। ওই মাদরাসা ছাত্রীটি এখন ওই বাড়ির পাশের একটি ঘরে অবস্থান করছে। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বরকতের বাড়িতে গেলে তিনি এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন বলে পরিবার জানান। তাই তার কোন সাক্ষাৎ নেয় যায় নি। তবে পরিবারের সদস্যরা ওই মাদরাসা ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ বিষয় জানাতে নাজিরপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. আশ্রাফুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি এ বিয়য়ে কোন অভিযোগ পান নি বলে জানান। তবে অভিযোগ পেল আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।