কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বটতলী ইউনিয়নের মুরগাঁও গ্রামের অসহায় মনোয়ারা বেগম নামে এক পঙ্গু নারীর পরিবারকে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সৎ ভাই ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী পরিবার কয়েক দফায় হামলার শিকার হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় ও স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে একাধিক বার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মৃত সৎ ভাইয়ের ছেলে ও তাদের পরিবারের লোকদের হামলার শিকার হয়ে আহত হন পঙ্গু বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম (৫৫), তার একমাত্র মেয়ে হাজেরা বেগম (২৫) ও তার স্বামী মিজানুর রহমান (৩৩)। এ ব্যাপারে ওই পরিবার নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুরগাঁও গ্রামের মৃত আকমত আলী ২ স্ত্রীর ৯ সন্তান রেখে পরলোকগমন করেন। মৃত্যু কালে আকমত আলী কিছু অর্পিত সম্পত্তি রেখে যান। কিন্তু তার মৃত্যুর পর প্রথম স্ত্রীর ছেলে মৃত আলী আহম্মেদের ছেলে মফিজুর রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আকমত আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ৩ কন্যা ও এক পুত্রের প্রাপ্ত হিস্যা সাড়ে ১৭ শতক জমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তাদেরকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। মফিজুর রহমান ও গিয়াস উদ্দিনের অত্যাচারে দ্বিতীয় স্ত্রীর একমাত্র ছেলে সৈয়দ আহম্মেদ মামুন বাড়ী ছাড়া হয়ে পাশ্ববর্তী গ্রামে অন্যের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছে। নিরুপায় হয়ে মামুনের পঙ্গু বোন মনোয়ারা তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তাদের নানাহ অত্যাচার সহ্য করেও ওই বাড়ীতে একটি ঝোপড়ি ঘর নির্মাণ করে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে। কিন্তু গত কিছুদিন যাবৎ মফিজুর রহমান, তার স্ত্রী রৌশনারা, গিয়াস উদ্দিন, তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে আরমান, দফায় দফায় হামলা করে তাদেরকে আহত করে ও তাদের একচালা রান্নাঘর এবং টয়লেট ভেঙ্গে ফেলে তাদেরকে উচ্ছেদে উঠে পড়ে লেগেছে।
বটতলী ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, তাদের কিছু জমি মনোয়ারার মা বিক্রয় করেছে বলে আমি শুনেছি। তবে কতটুকু বিক্রি করেছে আমার জানা নেই। ইউনিয়ন পরিষদে এ ব্যাপারে ২ মাস পর শালিস বৈঠক বসার কথা রয়েছে, তখন বিষয়টি সুরাহা হবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী অসহায় পরিবারটি।