রংপুরের তারাগঞ্জে সাংবাদিকদের নতুন সংগঠন ‘‘ উপজেলা প্রেসক্লাব’’ গঠন করায় হিংসায় জ¦লছে তারাগঞ্জের কিছু তথাকথিত সাংবাদিক।তারা সংগঠনটিকে নষ্ট করার জন্য নতুন নতুন ফন্দি আটছে। সরকারের সুনাম নষ্ট করতে তথাকথিত কিছু সাংবাদিক মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিগত সাংসদ নির্বাচনে ওই সংবাদিকদের কয়েকজন বর্তমান সাংসদের বিরুদ্ধে ভোটে অংশ নেয়া অন্য প্রার্থীর পক্ষে ভোট করেছে। ওই সাংবাদিকেরা সুবিধা না পাওয়ায় সুনামধন্য ব্যাক্তিদের বিরূদ্ধে একেরপর এক মিথ্যা খবর প্রচার করছে। এসব হলুদ সাংবাদিকতা রুখতে তারাগঞ্জের শতকরা ৯০ ভাগ চৌকশ সাংবাদিকরা একজোট হয়ে উপজেলা প্রেস ক্লাব নামক একটি সাংবাদিক সংগঠন গঠন করেছে। তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে সড়ক ও জনপদ বিভাগের যায়গায় অবৈধভাবে দখল করে গড়ে ওঠা তারাগঞ্জ প্রেস ক্লাবের পাশে নতুন করে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাব ঘরটি চৌকশ সাংবাদিকরা নির্মাণ করেছে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে ওই কতিপয় হলুদ সাংবাদিকরা। তারা চৌকশ সাংবাদিকদের ওই সংগঠনটি নিয়ে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। এতে স্থানীয় সুধী সমাজ সচেতন মহল রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গের মাঝে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সচেতন নাগরিকরা বলছেন, চৌকশ সাংবাদিকেরা তারাগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবটি গঠন করার পর ভুঁইফোড় সাংবাদিকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘ দিনের একচেটিয়া চুষে খাওয়া মনভাবে ভাঁটা পড়ার ভয়ে তারা আবোল তাবোল বলে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। ওই হলুদ সাংবাদিকেরা সরকারের সুনাম নষ্ঠ করার পরিকল্পনা নিয়ে মেতে উঠেছেন। তারা একের পর এক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ সুনামধন্য ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। তারাগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক বিপ্লব হোসেন অপু বলেন, আগে তারাগঞ্জ প্রেস ক্লাবের ঘরটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের যায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে। এটির পাশে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের ঘরটি টিনের বেড়া দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তারাগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের ঘরটি যদি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে তারাগঞ্জ প্রেস ক্লাবের যায়গা দখল কি বৈধ ? তারাগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাব গঠন করার পর ওই সাংবাদিকদের হলোটা কি ? তারা তালগাছ আমার নীতি টি পরিহার করতে পারছেনা বলেই, হাস্যকর কথা বলে বেড়াচ্ছে। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শরিফুজ্জামান বলেন, দুইটি প্রেস ক্লাবের ঘরেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের যায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে। আমি লোক পাঠিয়ে দুইটি ঘরেরই ছবি সংগ্রহ করেছি। ঘর দুটি সরানোর জন্য খুব শীঘ্রই দুই সংগঠনের সংবাদিকদের চিঠি দেয়া হবে। না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আলমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওই চার-পাঁচজন ভুঁইফোড় সাংবাদিকের অত্যাচারে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা যাতে জয়ী হতে না পারে সেজন্য বিগত সাংসদ ও উপজেলা নির্বাচনে তাঁরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালিয়েছে। কিন্তু তাদের সে আশা পূরণ না হওয়ায় এখন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিছু দিন আগে তাঁরা আমার বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালিয়েছে। তারাগঞ্জ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুর্শা ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুল হক সরকার বলেন, নির্বাচনের সময় বর্তমান সাংসদের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালিয়েছে ওই সাংবাদিকরা। উপজেলা পরিষদের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনিছুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে একই কাজ করেছে। বিরোধী দলের ইন্দোনে ওই চার পাঁচজন ভুঁইফোড় সাংবাদিক। এখন নানা ভাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছেন তারা।