পিরোজপুর জুড়ে নেছারাবাদের (স্বরুপকাঠি) প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনার মধ্যেও ঈদকে কেন্দ্র করে জমে উঠা ঈদ বাজারগুলোতে সক্রিয় হয়ে উঠছে জালনোট সিন্ডিকেট চক্র। বিশেষ করে ঈদের বাজারে উপছে পড়া বিড়ে বিপনী বিধানগুলোসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের বেছা-কিনায় গত দুই দিন ধরে জাল নোটের প্রবনতা বেড়ে গেছে। দোকান ব্যবসায়ীদের ক্রয়তাদের ভিড়ে জালনোট দিয়ে অতিসহজেই এ সিন্ডিকেট চক্র পারপেয়ে যাচ্ছে। প্রতিমুহুর্তেই এ অঞ্চলের কোথাও না কোথাও জাল নোটে নিঃস্ব হচ্ছে মুদির দোকান থেকে শুরু করে স্বর্ণের দোকান, কসমেটিকস ব্যবসায়ী ও জনপথের সাধারণ মানুষ। অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, করোনার ভয়-ভিতেতে দোকানীরা শুস্কভাবে টাকা চেক না করে নেয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে এ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ১‘শ থেকে ১ হাজার টাকার জাল নোটের মধ্যে ৫‘শ টাকার জাল নোটগুলোর বেশিরভাগই গ্রাম-গঞ্জের ছোট ব্যবসায়ী ও পথচারিদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে। হাজার টাকার জাল নোটগুলো শহর-মহল্লায় ও ১‘শ টাকার জাল নোটগুলো গ্রামের অলি-গলির চাঁ দোকান থেকে শুরু করে নিম্ম আয়ের মানুষের কাছে চলে আসছে। এ চক্রের খপ্পরে পড়ে সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রাস্ত হচ্ছে নিম্ম আয়ের মানুষগুলো। পল্লীর ছোট-ছোট বাজারের ব্যবসায়ী ও দোকানীদের হাতে কম-বেশী ধরা পড়লেও সরাসরী এ চক্রকে ধরতে না পারায় প্রতিরোধ গড়ে ত’লতে পারছেন না তারা। ইলুহার বাজারে মুদি দোকানদার শাহীন বলেন, ঈদবাজারে গতকয়েক দিন ধরে প্রতিদিন ব্যস্ততার মাঝে কেনাবেছা শেষে রাতে হিসাব মিলাতে গিয়ে ১‘শ টাকা থেকে শুরু করে সব ধরনের জাল টাকার নোট ধরা পড়লেও প্রমানের অভাবে প্রতিরোধ করতে না পারায় জাল টাকার নোটগুলো আগুনে পুড়ে ধ্বংশ করে দেয়ায় লাভের বড় একটা অংশ চলে য়ায় তাদের। প্রতারক চক্রের এজেন্টদের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলে মূল্যমানের জাল টাকা বাজারে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে সুশীল সমাজের ধারণা, জাল টাকার সিন্ডিকেট ও তাদের এজেন্টাদের প্রতিহত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জোরালোভাবে নানান কৌশল অবলম্বন করে এ চক্রের ধরাছোঁযার বাইরে থাকা মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনতে পারলে এ চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে ক্ষতিগ্রাস্ত মানুষগুলো।