কক্সবাজার সদর উপজেলার ৪ নম্বর ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটার পর পরিষদের গোডাউনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি চলে যাবার পর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলম এবং ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মেম্বার নুর জাহানের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী প্রেরিত গরীব, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত উপহার সামগ্রীর বরাদ্দ ও বিতরণকে কেন্দ্র করে তাদের দুজনের তর্কাতর্কি সমালোচনার পর্যায়ে চলে যায়। এ ঘটনায় উপস্থিত ট্যাগ কর্মকর্তা, ইউপি মেম্বার, পরিষদ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বরাদ্দ প্রত্যাশী উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ঘটনা বেশিদূর গড়ানোর পূর্বে উপস্থিত পুরুষ ও মহিলা মেম্বার বৃন্দ এগিয়ে এসে তাদের নিবৃত্ত করেন। জানা গেছে, কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসন থেকে এ ইউনিয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে চারশত প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয়।বরাদ্দকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ১৫০ প্যাকেট কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের তালিকা, ৫০ প্যাকেট সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের তালিকা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রেরিত নির্ধারিত কালিকা, পরিষদের পুরুষ মেম্বার হ্যাঁ বোন তিনজন মহিলা মেম্বারের অনুকূলে ২৫ প্যাকেট করে বরাদ্দ দেয় ইউপি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি সচিব আলতাজ আহমদ জানান, বরাদ্দকৃত ২৫ টি প্যাকেট ইউপি মেম্বার নুর জাহান তার প্রদত্ত তালিকা মতে নিজে উপস্থিত থেকে বিতরণ করেছেন। পরে তিনি আরও পাঁচটি প্যাকেট নেন। এ-সংক্রান্ত মাস্টার রোলে তার সই ও নেয়া হয়েছে। এর আগে তিনি সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত অর্থের ১৭০ টি প্যাকেটও বরাদ্দ পান। বিগত কয়েক বছর যাবৎ তিনি তার প্রাপ্য বরাদ্দ পেয়ে আসছেন। ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলম জানান, মহিলা মেম্বার নুর জাহান তার তালিকাভুক্ত লোকদের নিয়ে পরিষদে উপস্থিত হলে আমি ১৫ জনকে দেয়ার জন্য বলি। এতে তিনি দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। একপর্যায়ে আমি সেখান থেকে চলে যাই। ইউপি সদস্য নূর জাহান বলেন, দীর্ঘদিন আমাকে আমার প্রাপ্য বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এ বিষয়ে অনেক আগেই অভিযোগ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার বাবদ আমার প্রাপ্য ২৫ টি প্যাকেট বিতরণের জন্য আমি লোকজনসহ উপস্থিত হলে চেয়ারম্যান ঝামেলা সৃষ্টি করতে থাকেন। একপর্যায়ে তর্কাতর্কি ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবত ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলম ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বার নুর জাহানের মধ্যে নানা বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল।