ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকার খবরে উত্তাল হয়েছিলো বাংলাদেশের ধর্মান্ধচক্র। তখন নিরবে নিভৃতে ভেবেছি-যেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সা.)-এর কোন চিত্র বা ছবিই পৃথিবীতে নেই, সেই মহানবী(সা.)-এর ব্যাঙ্গচিত্র করা কি সম্ভব? উত্তরের প্রত্যাশায় প্রকৃত ধর্মীয় আলেমগণের ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ে জেনেছি- এটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। কেননা, কোন ব্যক্তিকে না দেখে অনুমান নির্ভর হয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ছবি আঁকলেই সেটা তাঁর বলে কখনোই বিবেচিত হবে না। কিন্তু তা আমাদের মাথা মোটা মামুনুলদের মাথায় আসেনি। এরা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এই ইস্যুতে জ¦ালাও পোড়াও করেছে, আর আমাদের কিছু অতিউৎসাহি গণমাধ্যম সেই অপকর্মসূচীগুলো কাভারেজ দিয়েছে। অথচ দেশে সাধারণ মানুষের দাবি আদায়ে আমরা হাজারো কর্মসূচী দেখি, যেগুলো গণমাধ্যমকর্মীরা তুলে আনেন না। এই সুযোগে মামুনুল-নুরের মত সুযোগ সন্ধানীদের রাজনৈতিক অবস্থা সাময়িক সময়ের জন্য জনগনের কাছে পৌছে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ হয় বাংলাদেশ-সাধারণ মানুষ। সাথে সাথে জান্নাত আরা ঝর্নাদের মত নারীরাও পরে যান মামুনুলদের রাজনৈতিক কর্ম আর সস্থা জনপ্রিয়তার আড়ালে লোলুপ ফাঁদে। যেমনটি চলছে বেশ কয়েকদিন যাবৎ। হামলা হচ্ছে হামাসকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে গাজায়; আর আমাদের ধর্মীয় কিছু তথাকথিত আলেম আছে মজায়। এরা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য মসজিদে আকসায় হামলা হচ্ছে বলে গুজব ছড়াচ্ছে। মনে রাখতে হবে- ব্রাদারহুডের সদস্য হামাস যেমন আমাদের প্রকৃত মুসলমানদের কোন উপকারে আসেনি ১৯৮৭ সাল থেকে, তেমনি ইসরায়েলও আমাদের ক্ষতিসাধনে পিছপা হয়নি। মধ্যিখানে ফিলিস্তিন নিয়ে যদি কথা বলতে যাই, প্রথমে বলবো- বাংলাদেশের মত অনুন্নত-দুর্নীতিগ্রস্থ-ধর্মান্ধদের দেশে বসে তাদের জন্য আমাদের পক্ষে করার তেমন কিছুই নেই কেবল দোয়া করা ব্যতিত।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ইহুদীকন্যা বিয়ে করার পরও তিনি নির্ভিক থেকে বিবৃতি দিয়েছেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। কেননা, তিনি মুসলমান। এই মুসলমান নারী যেমন নিরন্তর চেষ্টা করছেন দেশের ভালো-মানুষের ভালোর জন্য। তেমন নিজেদের রাষ্ট্র-ধর্মকে লালন করে নেতানিয়াহু নিজের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থেকে একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় হামলা চলবে। যতদিন প্রয়োজন ততদিন গাজায় হামলা চলবে এবং যতটা সম্ভব বেসমারিক ব্যক্তিদের হতাহত এড়ানো হবে। এই লড়াইয়ের জন্য যারা দায়ী তারা আমরা নই, দায়ী তারাই যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এই অভিযানের মধ্যবর্তী পর্যায়ে রয়েছি। বেসমারকি মানুষের ক্ষতি কমাতে সম্ভাভ্য সবকিছু করছি এবং সরাসরি সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা করছি। হামাস উদ্দেশ্যশূলকভাবে বেসমারকি মানুষের মধ্যে লুকিয়ে তাদের ক্ষতি চায়। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলার সপ্তম দিনে তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এতে ৪১ শিশুসহ নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৪ জনে। হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে চালিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইতিহাস বলছে- ইসরাইল সেই ১৯৪৮ সাল থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিরামহীনভাবে চলছে সেই হামলা নির্যাতন। প্রতিদিনই কোনো না কোনো ফিলিস্তিনিকে ঘর থেকে বের করে তার ঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কারো ভিটে মাটি কারো বা ফসলের জমি কেড়ে নিচ্ছে ইসরাইল। আর যে কজনও নিজেদের ভিটে-মাটিতে বাস করছেন তাদের বসতবাড়ির চারিদিকে বিশাল উঁচু দেয়াল তৈরি করে সেগুলোকে এক রকম বন্দিশালায় পরিণত করে রেখেছে। এ নিয়ে মালায়শিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদ খুব চমৎকার একটা কথা বলেছিলেন। মাহাথির মোহাম্মাদ বলেছিলেন- “পৃথিবীর সকল সন্ত্রাসের মূলেই হচ্ছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে, সেখানের ৯০ ভাগ আরব জনগণকে উৎখাত করে ইসরাইলের নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টিই হচ্ছে আধুনিক সন্ত্রাসবাদের শুরু। ইসরাইলকে থামাতে না পারলে সারা দুনিয়াকে সন্ত্রাস মুক্ত করা যাবে না। কারণ ইসরাইল হচ্ছে সারা দুনিয়ার সন্ত্রাসের মূল উৎস।”
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে এই বাস্তবতাটা আরব বিশ্বের নেতারা এখনও বুঝলেন না, বা বুঝতে চাইলেন না। অথবা বুঝেও না বোঝার ভান করে রইলেন। তা না হলে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, মিশর, কুয়েত, জর্ডানসহ আরও যেসব আরব দেশ আছে। তারা কেন নিষ্ক্রিয়? কারণ হামাস আলাদাভাবে চিন্তা করে। এই চিন্তায় আমাদের মুসলিম বিশ^ নেই; আছে ব্রাদারহুডের চিন্তা-দর্শন। অবশ্য এ নিয়ে ফিলিস্তিনিদেরও অভিযোগের শেষ নেই। যে আরব বিশ্বের প্রতি তাকিয়ে আছে ফিলিস্তিনি মাজলুম জনতা সেই আরবরাই ফিলিস্তিনিদের দিকে মুখ তুলে তাকায় না। কী করছে এই আরব বিশ্ব? ইসরাইলের সাথে রঙ্গলীলায় ব্যাস্ত। অথচ প্রতিদিন জুলুম নির্যাতন হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের ওপর। হত্যা, হামলা, মামলা, উচ্ছেদ, ধরপাকড় সব কিছুই চলে সেখানে। অথচ এই বর্বরোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করেছেন না, কেউ কিছু বলেছেন না? শুধু আরব নেতারা না, প্রায় সব মুসলিম দেশের নেতারা তাদের গদি রক্ষায় ব্যাস্ত। ইসরাইলের বিপক্ষে সত্যিকার অর্থেই কোন পদক্ষেপ নিলে তাদের গদি হারানোর ভয় আছে যে? আর মুসলিম বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সংস্থা ওআইসি। এটি তো একটি নাম সর্বস্ব সংগঠন। যে ওআইসির জন্মই হয়েছিল মসজিদে আকসা এবং ফিলিস্তিনের জন্য সেই প্রতিষ্ঠানটি গত ৫২ বছরে ফিলিস্তিনের জন্য কিছুই করলো না!
সত্যিকথা যদি বলি- লোক দেখানো কিছু মিটিং ফিটিং আর দায়সারা গোছের বিবৃতি দিয়েই নিজের কর্তব্য পালন করলো। আর গত এক দশকে তো নেতৃত্বের লড়াইয়ে আরও অকেজো হয় পড়েছে এই সংগঠনটি। ওআইসিতে তুরস্কের নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেনি সৌদি আরব। তাই ইচ্ছা করেই, তুরস্কের নেতৃত্বে থাকাকালীন ওআইসিকে মূলত নিষ্ক্রিয় করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এখন তুরস্ক নতুন করে এটিকে সক্রিয় করার চেষ্টা করছে কিন্তু আসলে লোক দেখানো কিছু মিটিং ছাড়া কার্যকরী কোন ফল আসবে না ওআইসির সম্মেলন থেকে। আর মুসলিম বিশ্বের আটটি দেশ নিয়ে ডি-এইট নামক যে সংগঠনটি তৈরি করেন তুরস্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিমুদ্দিন এরবাকান। সেটিকেও সুকৌশলে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। তুরস্কই বা কী করছে এই ফিলিস্তিনিদের জন্য? এক কথায় যদি বলি তাহলে বলতে হবে কিছুই না। যদিও নেতারা বিবৃতি বক্তৃতা দিচ্ছে, জনগণ মিছিল মিটিং করছে ঠিকই কিন্তু আসলে কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেই তুরস্কের পক্ষ থেকে। তাহলে কোথায় সেই নতুন করে খেলাফত ফিরে আসার আষাঢ়ে গল্প আর নতুন আরেক সালাহউদ্দিন আইয়ুবির ফিরে আসার স্বপ্ন?
তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারুণ্যের প্রতিনিধি হিসেবে বরাবরের মত একটি প্রশ্ন আসেই মনে, আর সেটি হলো- যে তুরস্ক, লিবিয়ায়, সিরিয়ায়, ইরাকে, আজারবাইজানে, সোমালিয়াতে এমনকি ইউক্রেনেও লড়াই করছে বিশ্বের অনেক পরাশক্তির বিরুদ্ধে সেই তুরস্ক, সেই এরদোগান কেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোন একশনে যাচ্ছে না? আর কতদিন অপেক্ষা করবে। আর কত রক্ত ঝরাতে হবে ফিলিস্তিনিদের? এর নেপথ্যে কি কেবল মুসলামনদের উপর নির্যাতন, নাকি ক্ষমতার দ্বন্দ্ব? হামাসের উপরই বা এত ক্ষেপেছে কেন নেতানিয়াহুরা? উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানতে পারি- হামাস (আরবি: حماس, প্রতিবর্ণী. হামাস, অনুবাদ 'উদ্দীপনা', حركة المقاومة الاسلامية হারাকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া (ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন) এর একটি সংক্ষিপ্ত রূপ) হল ফিলিস্তিনের একটি ইসলামি রাজনৈতিক দল যারা গাজা শহর নিয়ন্ত্রণ করে। হামাসের ইজ্ আদ-দীন আল-কাসসাম ব্রিগেড নামে একটি সামরিক শাখা আছে। জানুয়ারী ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনি পার্লামেন্ট ফিলিস্তিনি পার্লামেন্ট সংসদীয় নির্বাচনে অধিকাংশ আসন জিতে,জুন ২০০৭ সাল থেকে হামাস ফিলিস্তিন অঞ্চলের গাজা ভূখন্ড পরিচালিত করছে এবং তারপর সহিংস সংঘাতের মাধ্যমে ফাতাহ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে পরাজিত করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা, ইসরায়েল হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, কিন্তু ইরান, রাশিয়া এবং তুরস্ক, চীন হামাসকে সিরিয়া সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেনি। হামাস ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
একথা সত্য যে, জাতি ফিলিস্তিনে দুটি দল বেশ সক্রিয়। একটি হামাস, অন্যটি ফাতাহ। এর মধ্যে হামাসের দখলে রয়েছে গাজা এলাকা। ২০০৪ সালে আরাফাতের মৃত্যুর পর হামাস ও ফাতাহ'র মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয় এবং সেটা চরম আকার ধারণ করে ২০০৬ এর নির্বাচনের পর। ঐ নির্বাচনে হামাস জয়ী হয় এবং এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব রাষ্ট্রসমূহ ফিলিস্তিনে সাহায্য বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০০৭ সালে হামাস ফাতাহ সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীকে পরাজিত করে গাজার দখল নিয়ে নেয়। সেই থেকে গাজা শাসন করছে হামাস। আর এই শাসন ক্ষমতা হাতে নেয়াতে ইসরায়েলের সাথে তাদের যুদ্ধময় পর্বের সূচনা।
একথা তো দিনের মত সত্য যে, ফিলিস্তিনের কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামাস। ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে ইসরায়েলি দখলদারির অবসানের দাবিতে ‘ইন্তিফাদা’ বা ফিলিস্তিনি গণজাগরণ শুরুর পর ১৯৮৭ সালে হামাস গঠিত হয়। সংগঠনটির সনদ অনুযায়ী তারা ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আর তাদের চাওয়া হলো, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে বর্তমান ইসরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীর নিয়ে গঠিত একক ইসলামি রাষ্ট্র। হামাস প্রাথমিকভাবে দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়। প্রথমত, এর সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাশেম ব্রিগেডসের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়ত, ফিলিস্তিনে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা। কট্টর ইসরায়েলবিরোধী আধ্যাত্মিক নেতা শেখ আহমাদ ইয়াসিনের নেতৃত্বে আবদেল আজিজ আল-রান্তিসি ও মাহমুদ জহর হামাস প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালের মার্চে গাজায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন আহমাদ ইয়াসিন। পরের মাসেই নিহত হন আজিজ আল-রান্তিসি। সংগঠনটির বর্তমান প্রধান খালেদ মিশাল। ইসরায়েলবিরোধী কট্টর অবস্থান, ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানোর দীর্ঘ ইতিহাস ও এই অবস্থান থেকে সরে না আসার দৃঢ় ঘোষণার কারণে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে কোনো কোনো দেশ। এ তালিকায় রয়েছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান এবং ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ২০০৫ সালে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হওয়ার পরের বছরই ফিলিস্তিনি আইন পরিষদ প্যালেস্টিনিয়ান লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের (পিএলসি) নির্বাচনে জয়ী হয় হামাস। এরপর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহর সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ২০০৭ সালের জুনে গাজায় হামাস ও ফাতাহর মধ্যে প্রচন্ড লড়াই বেধে যায়। এরপর হামাস গাজায় সরকার গঠন করে। এখনো গাজার শাসনক্ষমতায় তারা। পশ্চিম তীরের শাসনক্ষমতা ফাতাহর হাতে। তবে ফিলিস্তিনে একটি ঐকমত্যের সরকার গঠনের ব্যাপারে গত এপ্রিলে রাজি হয়েছে হামাস ও ফাতাহ।
গাজা থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে হামাসের রকেট হামলা চালানো বন্ধ করার কথা বলেই ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনটি বড় অভিযান চালায় ইসরায়েল। মিসরে ব্রাদারহুডের পতনের পর প্রায় নিঃসঙ্গ হয়ে যায় কট্টরপন্থী এ সংগঠনটি। ইরানের কাছ থেকে এখনো কিছু অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা পেতো। এত এত অভিযোগ হামাস আর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে; যুদ্ধে তো তাদেরকে কোন না কোন চক্র মদদ দিচ্ছে। তারা কারা? কারা আহলে কিতাবের দুটি পক্ষকে যুদ্ধে রেখে নিজেদের ফায়দা হাসিল করছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি আর ভাবছি- নিজেদের দেশেই কত সমস্যা! সেই সমস্যার সমাধানই করতে পারি না, নিজেদের দেশে সাধারণ মানুষের খাবার জোটাতে পারি না! তার উপর একবার ফ্রান্স! একবার হামাস! একবার ইসরায়েল! একবার কাস্মির! কত কিছু নিয়েই না ভাবি! এই সময়ে আমাদের দাবি দেশের মধ্যে আগে গড়–ন নীতিবান নেতৃত্ব; তারপর রাষ্ট্রকে করুন শক্তিশালী। বিশ^সমস্যা সমাধানের জন্য জাতিসংঘকে আহবান জানান। যাতে আর নতুন কোন হামলা ঘটনা না ঘটে। ক্ষমতা দ্বন্দ্বে ইসরায়েল আর হামাস-এর বলির শিকার না হয় কোন নিরীহ মানুষ...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি