লালমরিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দল দিয়ে বাংলাদেশে আসা তিন শিক্ষার্থীর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ওই তিন শিক্ষার্থী বুড়িমারী স্থলবন্দরের সাম টাইম আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
এদিকে ভারত ফেরৎ তিন শিক্ষার্থীর করোনা পজিটিভের খবর ছড়িয়ে পড়ায় গোটা লালমনিরহাট জেলা জুড়ে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
রোববার (১৬ মে) সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই তিন শিক্ষার্থীর করোনা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কি না তা পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে ভারতের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়।এসময় ভারতের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থী ও চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশিরা ভারতে আটকে পড়েন। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকাসহ নানা শর্তে তারা দেশে প্রবেশের অনুমতি পান।
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের পর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমতি নিয়ে রোববার ( ১৬ মে) বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশটিতে আটকেপড়া শিক্ষার্থীসহ ২০২ জন দেশে ফিরেছেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে বর্তমানে পাচঁটি আবাসিক হোটেলে ৮৩ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ১০১ জনকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের সবাইকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। একই সময়ে ভারতে ফিরে গেছেন ১০৬ জন। এদিকে দুই ধাপে ৩৫ জনের করোনা নেগেটিভ আসায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ছাড় পত্র দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে বসবাসকারী একাধিক ব্যক্তি জানান, ভারত থেকে পন্য পরিবহনকারী ট্রাক গুলো কোন রকম স্প্রে ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ ছাড়া ওই ট্রাকের ড্রাইভার ও সহকারীরা অবাদে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বিভিন্ন হোটেলে খাওয়া দাওয়া করছে। এতে করে বুড়িমারী এলাকার লোকজন চরম আতঙ্কে রয়েছে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুর রহমান বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি যাত্রীদের লালমনিরহাট জেলা সদরসহ পাটগ্রাম ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের পাঁচটি আবাসিক হোটেলে ৮৩জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। তাদের দেখভালের জন্য থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ রাখা হয়েছে, যাতে তারা বাইরে বের হতে না পারে।