ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মেঘনায় অস¦াভাবিক জোয়ার প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে হাজীর হাট ও সাকুচিয়া সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বেড়ীবাঁধের বাহিরে অবস্থিত বাড়ি-ঘরগুলো ডুবে গেছে। এতে করে মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মঙ্গলবার দুপুরের জোয়ার অতিমাত্রায় প্রবাহিত হওয়ায় হাজীর হাট ইউনিয়নের সোনার চর এলাকায় পাকা সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবেশ করে উত্তর চরযতিন এবং সোনার চর এলাকার অধিকাংশ বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
এছাড়া দাসের হাট এলাকায় বেড়ীবাধের বাহিরে অবস্থিত বাড়ি-ঘরগুলো জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর, ডালচর, চর মামুনসহ কয়েকটি চর ডুবে যাওয়ায় খবর পাওয়া গেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্ধী হয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।
এদিকে ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপজেলার হাজীর হাট থেকে সাকুচিয়া যাওয়ার প্রধান সড়কটির নীচ থেকে জোয়ারের তীব্রতায় মাটি সরে গিয়ে প্রবলবেগে জোয়ারের পানি ভিতরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। যেকোন সময় সড়কটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সড়কটি বিচ্ছিন্ন হলে উপজেলার সাথে দুইটি ইউনিয়নের সহজ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়বে হাজারো মানুষ।
খবর পেয়ে ঝুকিপূর্ন সংযোগ সড়কটি পরিদর্শন করেন মনপুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেলিনা আক্তার চেীধূরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম মিঞা।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান বলেন, কোথাও বেড়ীবাঁধ বিচ্ছিন্ন হয়নি। তবে পাড়া সড়কের যে স্থানে পানি প্রবেশ করছে সেখানে জিও ব্যাগের বস্তা ফেলবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম মিঞা বলেন, অতিজোয়ারে ৪টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। সবগুলো এলাকা পরিদর্শন করেছি। ৫টি স্থানের বেড়ীবাঁধ বিচ্ছিন্ন ছিল, তার মধ্যে এপর্যন্ত ৪টির সংস্কার হয়ে গেছে, বাকি ১টির কাজ চলছে। ঘূর্নিঝড় মোকাবেলায় সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।