ইউনিক আইডি ও প্রোফাইল তৈরির জন্য ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের থেকে কিছু তথ্য চেয়েছে সরকার। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নের কাজ করছে। যার মধ্যে শিক্ষার্থী ও তার পিতা-মাতার জন্মনিবন্ধন সনদও চাওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের ও বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন। বিশেষ করে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহে তাদেরকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
জানা গেছে, বেশিরভাগ অভিভাবকের জন্মনিবন্ধন সনদ নেই। হাতেগোনা কয়েকজনের সনদ থাকলেও তাতে নামের বানান ভুল। আবার শিক্ষার্থীদের অনেকের সনদের জন্মতারিখ ও শিক্ষাগত সনদে দেয়া তারিখের মিল নেই। সারা গাইবান্ধা জেলায় এ অবস্থা বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীরা এখন এসব ত্রুটির সমাধান, দ্রুত জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধন ও নতুন জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করতে ছুটছে স্থানীয় পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাপে হিমশিম খাচ্ছেন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরতরাও। তাদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। এ ব্যাপারে সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নূর আলম জানান, গত কয়েকদিন থেকেই একই অবস্থা। প্রতিদিনই সবাই এসে জন্মসনদ সংশোধন, বা নতুন করে তৈরির জন্য তাড়াহুড়ো করছে।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, অনেকের ১০ বছর আগে জন্মনিবন্ধন করা হয়েছে। অনেকের সনদ খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়ায় জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা মনে করেননি কেউ। এখন নতুন করে জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন হওয়ায় চাপ বেড়েছে অফিসে। বিপাকে পড়েছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।