ভোলার মনপুরায় ঘূর্ণীঝড় ইয়াস এর প্রভাবে জোয়ারের পানির তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল স্্েরাতের তোড়ে হাজির হাট ইউনিয়ন ও সাকুচিয়া ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত পাাঁকা সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সংযোগ সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় উপজেলার সদর থেকে ২টি ইউনিয়নের মধ্যে সহজ যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় পাাঁকা সংযোগ সড়কসহ বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে ৭টি গ্রামসহ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
মানুষের পুকুরের ও ঘেরের মাছ জোয়ারের সাথে ভেসে গেছে। এতে ওই সমস্ত এলাকার ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন চরকলাতলী ও চরনিজামের নিম্নাঞ্চল ৭--৮ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার এর চেয়েও বুধবার জোয়ারের পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে আরও বেশী।
গতদিনের পানি না নামতেই আবার জোয়ার পানি আসায় সাধারন মানুষ বেশী ভোগান্তিতে পড়েছে। তবে ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘুরে ঘুরে দেখেছেন।
বুধবার দুৃপুর ১ টায় মেঘনার পানি বিপদসীমার উপর প্রবাহিত হয়ে উপজেলার ৭টি গ্রামের ১৩টি স্থানের মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। প্লাবিত হওয়া এলাকাগুলো হলো হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনারচর, নায়বের হাট, চরযতিন, হাজির হাট লঞ্চ ঘাট, দাসেরহাট, চরজ্ঞান, মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক, কূলাগাজীর তালুক, পুর্ব ঈশ্বরগঞ্জ, রামনেওয়াজ লঞ্চঘাট, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নে আলমনগর।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্লাবিত এলাকার বসত ঘরের মধ্যে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় পানিবন্ধি হয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা হাজার হাজার মানুষ। অনেকে নৌকায় বা রিক্সা করে বিভিন্ন এলাকায় যেতে দেখা গেছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম মিঞা বলেন, গতদিনের চেয়ে আজ পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোকে রাতেই শুকনা খাবার দিয়েছি। ঘূর্ণীঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।