পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ছবি তুলতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার (২৯ মে) বিকেলে ধর্ষক মাসুমকে (৩০) উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী এলাকা থেকে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার মাসুম উপজেলার ওই গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে ও দুই সন্তানের জনক। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চরহোগলাবুনিয়া মমিনউদ্দিন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী তার স্কুলের জন্য ছবি তুলতে ইন্দুরকানী উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারে যান। তখন ওই স্কুলছাত্রী একই এলাকার প্রেমিক মোয়াজ্জেম খানের ছেলে তরিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তরিকুলের খালাতো দুলাভাই দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের আ. রহমান হাওলাদারের ছেলে দুই সন্তানের জনক মাসুম হাওলাদার তাদের দেখে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে তরিকুলকে আগে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু স্কুলছাত্রীকে মাসুম নিজের বাড়িতে না নিয়ে দক্ষিণ ইন্দুরকানীর জব্বার মৃধার ছেলে এনামুল মৃধার বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে ওই স্কুলছাত্রী দুইদিন পর কৌশলে অন্য একজনের ফোন দিয়ে ফোন করে তার প্রেমিক তরিকুলকে বিষয়টি জানালে তরিকুল স্কুলছাত্রীর স্বজনদের জানান। পরে স্কুলছাত্রীর মামা ইন্দুরকানী থানা পুলিশের সহযোগীতায় শুক্রবার রাতে এনামুলের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করেন। ওই স্কুলছাত্রীর নানী জানান, আমার নাতনী এতিম। ছোট বেলায় মা মারা গেছেন। বাবা অন্যত্র বিয়ে করে চট্টগ্রাম থাকেন। আমার নাতনী ছবি তুলতে এসে বাড়িতে না গেলে অনেক খোঁজাখুঁজির দুই দিনপর তরিকুলের মাধ্যমে জানতে পারি তাকে আটকে রাখা হয়েছে। তখন পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করি। ওসি মো. হুমায়ুন কবির জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক মাসুমকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।