ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলার রেকর্ডের মালিক সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। তবে আগামী ২ জুন থেকে শুরু হওয়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে খেলতে নামলে কুকের ১৬১ টেস্ট খেলার রেকর্ডে ভাগ বসাবেন বর্তমান দলের পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। তার কাছে এটি কল্পনাতীত ব্যাপার। অ্যান্ডারসনের প্রিয় বন্ধু কুক পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই ওপেনার হিসেবে খেলেছেন। আর ৩৮ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল পেসার। টেস্ট ক্রিকেটে এ পর্যন্ত ৬১৪টি উইকেট শিকার করেছেন অ্যান্ডারসন। লংগার ভার্সনে একজন পেসারের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এন্ডাসন বলেন, পেস বিভাগের নেতৃত্ব দিতে শারীরিকভাবে আরও বেশি ফিট থাকতে হবে তাকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দু'টি ও ভারতের বিপক্ষে পাঁচ টেস্ট খেলার আশা করছেন অ্যান্ডারসন। ৭টি টেস্ট খেলতে পারলে বড় ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা সেরা তিন খেলোয়াড়ের পরেই তার জায়গা হবে। তখন তার ম্যাচ সংখ্যা হবে ১৬৭টি। ২০০টি টেস্ট খেলে এই তালিকায় সবার উপরে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার। তাই টেস্টে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার বিশ্ব রেকর্ডটি টেন্ডুলকারের দখলে। ১৬৮টি ম্যাচ খেলে যৌথভাবে দ্বিতীয়স্থানে অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং ও স্টিভ ওয়াহ। সংবাদমাধ্যমকে অ্যান্ডারসন বলেন, 'এটি আমাকে গর্বিত করে। আমি এক মিলিয়ন বছরেও কল্পনা করিনি, আমি এই অবস্থায় পৌঁছাতে পারব। এত সংখ্যক ম্যাচ খেলা বর্তমান কোনো বোলারের জন্য সম্ভব হবে আমি জানি না। কিন্তু আমার কাছে এটি অবিশ্বাস্য। কারণ, আমি কখনো ভাবিনি, এতগুলো ম্যাচ আমি খেলব।' ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলায় কুককে স্পর্শ করাটা অ্যান্ডারসনের জন্য দুর্দান্ত একটি মুহূর্ত হবে। কারণ ১৮ বছর আগে এই লর্ডসেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল অ্যান্ডারসনের। তিনি বলেন, '২০০৩ সালে আমি প্রথম লর্ডসে আমার অভিষেক হয়েছিল। এই মাঠের পরিবেশ আপনি বিশ্বের অন্য কোথাও পাবেন না। আমি টেস্ট ক্রিকেটকে পছন্দ করি, এর জন্য আমার প্রচন্ড আবেগ রয়েছে। ছ্টে বেলা থেকে আমি যা চেয়েছি তা হলো- ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলা। এবং এই দীর্ঘ সময়ে যা করেছি সে জন্য আমি গর্ব বোধ করি।' প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১ হাজার উইকেট শিকার থেকে মাত্র ৮ উইকেট দূরে অ্যান্ডারসন। ২৫৯ ম্যাচে তার শিকার ৯৯২ উইকেট।২০০৫ সালে সর্বশেষ ইংল্যান্ডের পেসার হিসেবে এমন মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন এন্ড্রু ক্যাডিক। ওই রেকর্ড গড়া নিয়ে অ্যান্ডারসন বলেন, 'এই সময়ে এবং এই বয়সে আর প্রথম শ্রেণীর উইকেট পাওয়া সম্ভব কিনা, তা আমি জানি না। যে পরিমাণ ক্রিকেট খেলা হচ্ছে তাতে বোলারদের মধ্যে আর সেই দীর্ঘস্থায়ীত্ব থাকবে বলে মনে হয় না। বর্তমানে প্রচুর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে আরও অনেক লিগ চলছে।'