জিম্বাবুয়ের সফরের আগে ব্যাটিং-স্পিন বোলিং কোচ পাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়ে সফরে এক টেস্ট, তিন ওয়ানডে-টি টোয়েন্টি খেলতে টিম টাইগার আগামী ২৯ জুন দেশ ছাড়বে। ড্যানিয়েল ভেট্টোরির চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার পর থেকে স্পিন বোলিং কোচের পদটি শূন্য আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য শুধুমাত্র ব্যাটিং কোচ জন লুইসকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তবে ব্যাটিং কোচের পরিবর্তনের ইচ্ছে ছিল বিসিবিরও। বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ইতোমধ্যে স্পিন বোলিং কোচ এবং ব্যাটিং কোচের নাম সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে। জিম্বাবুয়ে সফরের আগে নিয়োগ দেয়া হবে। তার ভাষায়, 'আমরা উপমহাদেশ থেকে একজন স্পিন কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে ভারত-পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার একজন কোচের সাথে কথা বলেছি। দলে এমন কিছু খেলোয়াড় আছেন যারা সোহেল ইসলামকে স্পিন বোলিং কোচ হিসাবে চান। বিষয়য়টি চূড়ান্ত করার আগে আমরা আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড় এবং কোচিং কর্মীদের সাথে পরামর্শ করব।' তিনি আরও বলেন, ‘জন লুইস আমাদের ব্যাটিং কোচ রয়েছে। তবে কেউ কেউ তার প্রতি আগ্রহ দেখায়, আবার কেউ আগ্রহ দেখায় না। আমাদের প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা তাকে রাখব কি-না। আমরা যদি তাকে ধরে না রাখি, তবে আমাদের হাতে দু’তিন জন কোচের তালিকা রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কোচ এর আগে বাংলাদেশে দলের সাথে কাজ করেছিলেন। আমরা আশা করি তিন বা চার দিনের মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে।' ব্যাটিং এবং স্পিন বোলিং কোচের নাম প্রকাশ করেননি আকরাম। তবে বিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, ইতোমধ্যে দলের জন্য স্পিন বোলিং কোচ হিসাবে শ্রীলঙ্কার সাবেক বাঁ-হাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথকে পছন্দ করেছে বিসিবি। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন হেরাথ। ৯৩ টেস্টে ৪৩৩টি ও ৭১ ওয়ানডেতে তার শিকার ৭৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলঙ্কা দলের সদস্য ছিলেন হেরাথ। ১৭ টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার ১৮ উইকেট। আর ২৭০টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১০৮০টি। একই সাথে, দলের ব্যাটিং কোচ হিসাবে জেমি সিডন্সের ব্যাপারে আগ্রহী বিসিবি। এর আগে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। তার হাত ধরেই তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান গড়ে উঠেছে। আকরাম বলেন, 'এই মহামারীতে দীর্ঘ সময়ের জন্য কোচ পাওয়া কঠিন। তবে আমরা আশা করি, জিম্বাবুয়ের সিরিজের আগেই আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করতে পারব। আমাদের অস্ট্রেলিয়া সিরিজ আছে এবং এরপর নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড বাংলাদেশ সফর করবে।'